পেঁয়াজের কেজি ফের ১৮০

অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পর বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠা ও আমদানিতে ভর করে দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার চড়েছে এই খাদ্যপণ্যের দাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2020, 03:08 PM
Updated : 3 Jan 2020, 03:21 PM

শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজের কেজি ১৮০ টাকা রাখা হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১০০-১১০ টাকা ছিল।  

ফের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বৃষ্টির অজুহাত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের দাবি, শীত মওসুমে সারা দেশে আকস্মিক বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় হাট-বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, যাতে দাম বাড়ছে।

শুক্রবার সকালে মিরপুর পীরেরবাগ কাচাবাজারের মুদি দোকানি আলমাস হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই দিন আগেও দেশি নতুন মওসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১২০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

“কিন্তু সকাল বেলা পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখি দাম উঠে গেছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। ওই দামেই পেঁয়াজ কিনে আনতে হয়েছে। তাই এখন আর ১৮০ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।”

গেল সপ্তাহে চীন ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়। তবে এই সপ্তাহে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা লতিফ হাওলাদার বলেন, গত সপ্তাহে মিশরীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা ছিল এই সপ্তাহে তা বিক্রি করছেন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়।

“কারণ গত দুই দিন ধরে দাম বেড়ে গেছে।”

কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় হতে দেখা যায়।

গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশের বাজারে ৩০-৪০ টাকার এই পণ্যের দাম বাড়তে বাড়তে আড়াইশ টাকায় ওঠে। কয়েক মাস পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামের কারণে সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন অনেকে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির পদত্যাগও চেয়েছেন কেউ কেউ।

এরপর মিশর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির পাশাপাশি বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ ওঠায় দাম কমতে থাকে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার আশপাশে আসে। এখন আবার বেড়ে তা ২০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেল।   

কারওয়ান বাজারে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ টাকায়, কেরালার আদা ১৩০ টাকা এবং দেশি আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চীনা আদা প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে এখনও সবজির দামে তার প্রভাব পড়েনি বলে আব্দুল হালিম নামে একজন বিক্রেতা জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে সবজি আসা কমে গেছে, বৃষ্টির কারণে ক্রেতার আনাগোনাও কম।”

এদিন টমেটো ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধা কপি প্রতিটি ৩০ টাকা, শিমের কেজি ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, মটরশুটি ৬০ টাকা, খিরা ৩০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হয়।

ফার্মের ডিম আগের মতো প্রতি ডজন ৯৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা আর সোনালি মুরগি ২২০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।