বৃহস্পতিবার রিয়াদের স্টক এক্সচেঞ্জে আরামকোর শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়ে ৩৮ দশমিক ৭ রিয়ালে লেনদেন শুরু হয়।
বাজার মূল্যে কোম্পানিটি দুই ট্রিলিয়ন (দুই লক্ষ কোটি) ডলারের লক্ষ্য ছুঁয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলকে অনেক পেছনে ফেলে বিশ্বের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর চূড়ায় উঠে গেল আরামকো।
বুধবার প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন (এক লাখ ২০ হাজার কোটি) ডলার।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১১ মিনিটে আরামকোর শেয়ার আগের দিনের সমাপনী দরের চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়ে কমবেশি ৩৭ রিয়ালে লেনদেন হচ্ছিল।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের রেকর্ড ভেঙে দুই হাজার ৫৬০ কোটি ডলার তোলার পর বুধবারই প্রথম লেনদেনে আসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই তেল কোম্পানি।
আইপিও বিক্রির মধ্য দিয়ে আরামকোর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন (এক লাখ ৭০ হাজার কোটি) ডলারে।
তবে তা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হিসাবে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ছিল। তবুও বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে আরামকো।
তেলনির্ভরতা কমিয়ে সৌদি আরবের অর্থনীতির আধুনিকায়নে যুবরাজের মেগা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আরামকোর শেয়ার বাজারে ছাড়া হয়েছে।
শুরুতে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জে- রিয়াদের তাদাউল একচেঞ্জ ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের মতো কোনো পশ্চিমা স্টক এক্সচেঞ্জ- প্রাথমিক শেয়ার ছেড়ে ১০ হাজার কোটি ডলার মূলধন সংগ্রহের পরিকল্পনা ছিল আরামকোর।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, রাজনৈতিক ঝুঁকি ও ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় দেখালে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সৌদি আরব।
১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার মূলধন হওয়া নিয়ে আরামকোর জোরালো অবস্থান নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, যার কারণে নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে আইপিও নিয়ে রোড শো করার পরিকল্পনা থেকেও সরে আসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানিটি।
তার বদলে সৌদি বিনিয়োগকারী ও উপসাগরীয় আরব মিত্রদের কেন্দ্র করে আইপিও ছাড়ার পরিকল্পনা করে। আইপিও নিয়ে দেশজুড়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা শুরুর পর সৌদি ব্যাংকগুলো শেয়ার কেনার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।