গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে পুরষ্কার পেল ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স

বাংলাদেশে প্রথম গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যানুফ্যকচারার হিসেবে পুরষ্কার পেল ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2019, 09:01 AM
Updated : 19 Oct 2019, 09:01 AM

গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্র্যান্ড পুরস্কার পেয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ  বাস্তবায়নে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’মিশনের অংশ হিসেবে স্যামসাং স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এই পুরস্কার পেয়েছে।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, হাইটেক পার্ক অথোরিটি, ইনোভেশন প্রকল্প, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং এটুআই আয়োজিত ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপোতে অংশ নিয়ে এই পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের কাছ থেকে  পুরষ্কার গ্রহণ করেন ফেয়ার গ্রুপের চেয়্যারম্যান ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আলম আল মাহবুব।

এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অফিসার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এ সম্মানানা গ্রহন করেন।

মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের বাংলাদেশে স্থানীয় উৎপাদক ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশে স্যামসাংয়ের মোট স্মার্টফোনের চাহিদার ৯৬ শতাংশ নরসিংদী হাইটেক পার্কে প্রস্তুত করছে।

এছাড়া ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশে স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটর, এসি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন তৈরী করছে এবং খুব শীঘ্রই স্যামসাং টিভি ও ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতউল্লাহ এবং তথ্য ও যোগাযোগ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

পুরষ্কার গ্রহণ করে ফেয়ার গ্রুপের চেয়্যারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার যে অঙ্গীকার করেছেন আমরাও একই লক্ষ্যে অঙ্গিকারাবদ্ধ।”

তিনি বলেন, ফেয়ার গ্রুপের দর্শন হচ্ছে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলে স্থানীয় উৎপাদনে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করা।  যাতে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পায়; স্থানীয় উদ্ভাবকরা উৎসাহিত হয়ে প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এসে দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়ে  বিদেশে রপ্তানী করা যায়।

“এভাবে আমরা দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পে নেতৃত্ব দিতে চাই এবং বাংলাদেশ সরকারের মেইড ইন বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।”