২৪ ঘণ্টায় কমবে পেঁয়াজের দাম, আশা সরকারের

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বিরুনি। একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীনও।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2019, 11:25 AM
Updated : 17 Sept 2019, 11:35 AM

মঙ্গলবার বিকালে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বিরুনি বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।

“আমরা যথেষ্ট নিশ্চিত যে, দাম কমে আসবে, আজকের বৈঠকের পর কমে আসবে; আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে ইতিবাচক সহযোগিতা চাই।”

তবে এতো অল্প সময়ের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কমাতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা খোলাসা করেননি আবু রায়হান।

আন্তর্জাতিক, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা এবং বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন।

ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়ানোর খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর পাঁচটি স্থানে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি); পর্যায়ক্রমে আরও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হবে।

পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর উপায় খুঁজতে মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন।

পেঁয়াজের দাম কমার কারণ ব্যাখ্যায় আবু রায়হান আল বিরুনি বলেন, “ট্যারিফ কমিশন অ্যানালাইসিস করে দেখেছে আমাদের বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৩ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। পচনের কারণে আমাদেরকে ১০ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

“১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন। উৎপাদন রয়েছে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। সুতরাং আমরা বাজার বিশ্লেষণ করে দেখেছি ২৮ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে, যা যথেষ্ট।”

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের আবহাওয়া ও কৃষি ব্যবস্থার কারণে এক মাস আগে নতুন পেঁয়াজ নামে। নভেম্বরে যখন ভারতের বাজারে নতুন পেঁয়াজ নামবে তখন তাদের ট্যারিফ বাধা উঠিয়ে দেবে।”

তখন প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ৩০০ ডলারে নেমে আসবে জানিয়ে আবু রায়হান বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

পেঁয়াজের দাম কমার ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীনও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

“আশা করি আজকের মিটিংয়ের পরে দামের ঊর্ধ্বগতি আর থাকবে না। পাইকারি থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির যে বিষয়টি রয়েছে তা মনিটরিং আরও জোরদার করা হচ্ছে।”

প্রয়োজনে দুই-একদিন পর তারা আবার বসবেন বলেও জানান সচিব।

মিয়ানমারসহ আরও কয়েকটি দেশে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যায় কিনা তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, বলেন জাফর উদ্দীন।