দুই বছরে ১০০০ উদ্যোক্তা তৈরি করবে আইডিয়া: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প থেকে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই এক হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2019, 02:03 PM
Updated : 15 Sept 2019, 02:03 PM

রোববার রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পলক বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা আইডিয়া প্রজেক্ট থেকে প্রথমে ১০ হাজার উদ্যোক্তা খুঁজে বের করব। তার মধ্য থেকে আমরা ইনোভেটিভ ভায়াবল প্রডাক্টের বিবেচনায় এক হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করব।”

এই উদ্যোক্তাদের ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধন জোগানো হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ৪০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে, যা কর্মক্ষেত্র ও অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ারের সেতু হিসেবে কাজ করবে।

‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’- এই স্লোগান সামনে রেখে রোববার শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ এর দ্বিতীয় অধ্যায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের এ উদ্যোগে সহযোগিতা করছে সিআরআই প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা।

 স্টার্ট আপ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার সোহাগ চন্দ্র দাস বলেন, “দেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে অবদান রাখতে  উদ্ভাবনী পরিকল্পনা আছে এমন তরুণ উদ্যোক্তাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে খুঁজে বের করব আমরা।”

সারা দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া দেশের ১০০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত বুথের মাধ্যমেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

রোববার থেকেই এ নিবন্ধন শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট (www.s2s.startupbangladesh.gov.bd) ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে (www.startupbangladesh.gov.bd) নিবন্ধনের লিংক পাওয়া পাবে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পেইন ভেন্যু থেকে ৭৫টি প্রকল্প বাছাই করা হবে। সেখান থেকে বিজয়ী ১০টি স্টার্টআপকে অনুদান দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা করে। পুরষ্কার বিতরণী হবে অক্টোবরে।

সেই সঙ্গে শীর্ষ ৩০-এ থাকা বাকি ২০টি স্টার্টআপও রানারআপ হিসেবে আইডিয়া প্রকল্প থেকে গ্রুমিং ও বিশেষ প্রশিক্ষণ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপগুলো প্রস্তুত হলে তাদেরও অনুদান দেবে আইডিয়া প্রকল্প।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের প্রথম অধ্যায় সম্পন্ন হয়। সেখানে সেরা ১০টি স্টার্টআপকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। বাকি ২০টি স্টার্টআপকে গ্রুমিংয়ের জন্য নির্বাচিত করা হয়।