চলতি অগাস্ট মাসে চতুর্থ বারের মতো বাড়ল সব ধরনের সোনার দাম।
ভালো মানের সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানোয় ২২ ক্যারেট সোনা এখন প্রতি ভরি ৫৮ হাজার ২৮ টাকায় বিক্রি হবে।
মঙ্গলবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি–বাজুস।
গত ৮ অগাস্ট সোনার দাম প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা এসেছিল। তার মাত্র এক দিন আগে ৬ অগাস্ট সব ধরনের সোনার দর একই পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল।
তার আগের মাসে ২৪ জুলাই আরেক দফা বাড়ানো হয়েছিল সোনার দর। তখনও ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
সোমবারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৫৫ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৫০ হাজার ৬৮০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৩০ হাজার ৩২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা, ২১ ক্যারেট ৫৪ হাজার ৫২৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪৯ হাজার ৫১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ২৯ হাজার ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম বাড়ানোর পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিকে কারণ দেখিয়েছেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দর প্রতি দিনই বাড়ছে। গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে এর দাম।
“সে হিসাবে এক বছরে প্রতি আউন্স সোনার দর ৪২৭ ডলার বা ৩৫ হাজার টাকা বেড়েছে। সে তুলনায় আমরা খুব কমই বাড়িয়েছি।”
বিশ্ববাজারে সোনার দর এ সময় কেনো বাড়ছে এ প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, “আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের গোল্ডের দাম ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যেতে পারে, এ আভাস পেয়ে অনেকেই এখন এটি কিনে মজুদ রাখছে। সে কারণে চাহিদা বাড়ায় দরও চড়ছে।”
বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে পতনের কারণে অনেকে সোনা কিনে রাখায় এর চাহিদা বেড়েছে বলে জানান আগরওয়ালা।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং ডলারের দরপতনের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য ক্রমাগত উর্ধ্বমুখি রয়েছে। ফলে দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৭ অগাস্ট মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের বাজারে সোনার ভরি ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
তার আগে ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার দিন প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম দেড় হাজার টাকা বাড়ানো হয়।
কিন্তু তার চার দিন পরই দাম কমিয়ে আগের অবস্থায় ফেরত নেওয়া হয়।
এরপর জুন মাসের শেষে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ করমেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা অপ্রদর্শিত প্রতি ভরি সোনা ১ হাজার টাকায় বৈধ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতে ভালো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে রুপার আগের অপরিবর্তিত রেয়েছে। আগে ৯৩৩ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে এটি।