শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মিরপুরের বড়বাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বর্ষকালীন সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা করে বেড়েছে।
বড়বাগে সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, সব সবজির দামই বেড়েছে। তবে বেশি বেড়েছে মরিচের দাম। এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ তিন দিন আগেও সাড়ে চারশ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু গতরাতে কিনতে হয়েছে ৭০০ টাকায়।
“সেই হিসাবে এক কেজি মরিচের দাম পড়ছে ১৪০ টাকা। তবে খুচরায় আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা করে।”
গত সপ্তাহে আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ ২০ থেকে ২৫ টাকায় পাওয়া গেছে।
মরিচ ও অন্যান্য শাক সবজির দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে আরেক সবজি বিক্রিতা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। আর সে কারণেই পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।”
এদিন কারওয়ানবাজার ও মিরপুরের বড়বাগ বাজারে চিচিঙ্গা কেজি প্রতি ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
গত সপ্তাহেও এসব সবজির প্রতিটিই ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে পাওয়া গেছে। ঢেঁড়শ-পটলের কেজি ২০টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।
বন্যার করাণে বাজারে সবজির সরবরাহে টান পড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে অধিকাংশ সবজি কেজিতে ‘অন্তত ১০ টাকা’ করে বেড়েছে বলে জানান মোহাম্মদ হোসেন।
মাসখানেক ধরে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম গত তিন দিনে একটু একটু করে কমছে বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা ২০০ টাকা থাকলেও শুক্রবার সেটা ১৮০ টাকায় নেমেছে। অর্থাৎ কেজিতে কমেছে চার টাকা।
পাড়ার মুদি দোকানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত দুই দিনে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২ টাকা করে কমেছে। প্রতিকেজি নাসিক পেঁয়াজ ২৮ টাকা থেকে কমে এখন ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়।
বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজি ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা।
দীর্ঘদিন ধরে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান মুদি দোকানি সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বর্তমানে গুটি স্বর্ণা চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায় অর্থাৎ প্রতিকেজি ২৮ টাকা, বিআর আটাশ চাল প্রতি বস্তা ১৭৫০ টাকা বা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল প্রতি বস্তা ২১০০ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।