জিএসকে’র স্বাস্থ্যসেবায় ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেয়ার এবং সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বাস্তবায়ন করা স্বাস্থ্যসেবা কাজ নিয়ে পর্যালোচনা অনুষ্ঠান করেছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন(জিএসকে)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2019, 05:21 PM
Updated : 17 July 2019, 05:21 PM

সম্প্রতি রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অংশীদারি কার্যক্রম’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা খাতে জিএসকে ও অংশীদারদের কার্যক্রমের সাফল্য উদযাপন করা হয়।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য ২০১২ সাল থেকে জিএসকে লাভের ২০ শতাংশ পুনরায় বিনিয়োগ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন অংশে অংশীদারত্বের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে বলে বুধবার জিএসকে’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন, জিএসকে বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত পান্ডে, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী ও কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সাইদ মোদাসসের আলীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে ২০১২ সাল থেকে জিএসকে লাভের ২০ শতাংশ পুনরায় বিনিয়োগ করে থাকে। দেশের বিভিন্ন অংশে অংশীদারত্বের উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে।

জিএসকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রশান্ত পান্ডে জানান, তারা সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় ৩০০টি দক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা (এসএইচইএস) এবং তিন হাজার কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়াও উখিয়ায় মায়ানমারের শরণার্থী ক্যাম্প পরিচালনা ও হেলথ অ্যাক্সেস অ্যান্ড লিংকেজ অপারচুনিটিস ফর ওয়ার্কারস প্লাস (এইচএএলওডব্লিউ+) এর মাধ্যমে আরএমজি কর্মীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করছে জিএসকে।

কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সাইদ মোদাসসের আলী বলেন, “সুনামগঞ্জে প্রত্যন্ত হাওরে জিএসকে-কেয়ার কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার্স উদ্যোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩০০ দক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা সরকারের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজে করছে এবং এর মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে সরকারকে সহায়তা করছে।

বৃটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, “জিএসকে এবং এমঅ্যান্ডএস এর মতো বৃটিশ সংস্থাগুলো তাদের আকর্ষণীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটিগুলোয় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এসে দায়িত্ববান ও কল্যাণমূলক কোম্পানির পরিচয় দিয়েছে।