বাংলাদেশের বাজারে বিপণন হওয়া দুধে এন্টিবায়োটিক ও অনুজীবের উপস্থিতি নিয়ে একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক `অমূলক ও ভিত্তিহীন’ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলেও দাবি করেছে তারা।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ফার্ম ফ্রেশ ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত তরল দুধের মান সম্পর্কে দৃঢ় নিশ্চয়তা দেন আকিজ গ্রুপের পরিচালক এস কে শামীম উদ্দিন।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ও বায়ো মেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক আ ব ম ফারুক। ফার্মেসী অনুষদের শিক্ষকদের নিয়ে তিনি এ গবেষণা করেছেন বলে জানান।
এস কে শামীম বলেন, “অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের গবেষণা পত্রে ঢালাওভাবে পাস্তুরিত দুধকে অনিরাপদ ও মানহীন বলা হয়েছে; যা মোটেও সত্য নয়। গবেষণার ফলাফলে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কথা বলা হলেও কত পরিমাণে তা উপস্থিত উনি তা প্রকাশ করেননি এবং এর গ্রহণযোগ্য মাত্রার সর্ম্পকেও কিছু বলেননি।
“রিপোর্টে শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কথা গণমানুষের মধ্যে শঙ্কা, নিরাপত্তাহীনতা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন।”
তিনি বলেন, “আকিজ তরল দুধ বিএসটিআইয়ের মান অনুসরণ করে প্রক্রিয়াজাত,মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হয়। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশনাও মানা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ২০ শতাংশ সরাসরি দুগ্ধখাতের সঙ্গে যুক্ত। দেশে এক লাখেরও বেশি নিবন্ধিত খামারি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আকিজ গ্রুপের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মাইদুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজার এম এম ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।