নিম্নমানের এসব সেমাই শুক্রবারের মধ্যে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএসটিআই। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও বুধবার এক নোটিশে তিন দিনের মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নিতে বলেছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের ব্রান্ডগুলো হল-
চট্টগ্রামের ওয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘ওয়েল ফুড’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, ঝালকাঠির জেদ্দা ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ‘জেদ্দা’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, বরিশালের অমৃত ফুড প্রোডাক্টসের ‘অমৃত’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, সিলেটের মধুফুল অ্যান্ড প্রোডাক্টসের ‘মধুফুল’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চট্টগ্রামের মিঠাই সুইটস অ্যান্ড বেকারীর মিঠাই ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চট্টগ্রামের মধুবন ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুটের ‘মধুবন’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চট্টগ্রামের মিষ্টি মেলা ফুড প্রোডাক্টসের ‘মিষ্টি মেলা‘ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই এবং প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের প্রাণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।
বিএসটিআই বলছে, রোজা শুরুর আগে বাজারে গোপন অভিযান চালিয়ে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে তারা। তাতে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের হিসাবে চিহ্নিত হয়।
পরে সংশ্লিষ্ট বিপণন কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় তারা।
এদিকে ওই ৫২টি পণ্যের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসে আদালত থেকে। আগামী ২২ মের মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে সরাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এ বিষয়ে ভোক্তাদের বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ এসব পণ্য অবশ্যই বাজার থেকে প্রত্যাহার করা উচিত। এ বিষয়ে আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা পালন করবেন বলেই আশা করি।”
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা বিএসটিআইয়ের ল্যবরেটরি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর লাচ্ছা সেমাইসহ অন্যান্য পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দিয়েছেন। বাজার থেকে এসব পণ্য প্রত্যাহারে দোকানি ও সরবরাহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার জ্ঞাতার্থে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
নোটিশেও তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময়ের পর যদি বাজারে এসব পণ্য পাওয়া যায় তখন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কয়েকটি কোম্পানির বক্তব্য জানতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।