বিদেশি পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে: রাষ্ট্রপতি

বিদেশি পর্যটকরা যাতে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2019, 01:17 PM
Updated : 18 April 2019, 01:17 PM

বৃহস্পতিবার নবম বাংলাদেশ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যসহ পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানগুলোকে বিদেশে চমৎকারভাবে তুলে ধরতে হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ আমাদের দূতাবাসগুলোকে এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

বিদেশি পর্যটকরা আমাদের অতিথি। তারা যাতে নির্বিঘ্নে এবং আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারে, আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেন রাষ্ট্রপতি।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দেশের পর্যটন খাতের বিকাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আমি আশা করি পর্যটন শিল্প জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ। আমি আশা করি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা একত্রে কাজ করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরবে।”

আবদুল হামিদ বলেন, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিত্য চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীজুড়ে গড়ে উঠেছে হাজারও পর্যটন কেন্দ্র। বর্তমানে বিশ্বে পর্যটন এক বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হিসাবে বিবেচিত। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনেও এই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা প্রাপ্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ বাংলাদেশের মিশনগুলো সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।”

বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের জন্য দশম ইসলামিক কনফারেন্স অফ ট্যুরিজম মিনিস্টারস (আইসিটিএম)-এর চেয়ার নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। 

তিনি বলেন, “ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য ‘দ্যা ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আরব আমিরাতসহ ১৩টি দেশের প্রতিনিধিরা তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে অংশ নিচ্ছে বলে আয়োজকরা জানান।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য দেন।

পরে রাষ্ট্রপতি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।