‘বর্ষসেরা আচারের’ পুরস্কার পেলেন ঢাকার নওরীন

প্রাণ আয়োজিত ১৯তম জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের নওরীন আহসান জিতেছেন বর্ষসেরা আচারের পুরস্কার। এছাড়া টক, ঝাল, মিষ্টি ও অন্যান্য ক্যাটারিতে পুরস্কার পেয়েছেন ১২ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2019, 07:59 PM
Updated : 15 Feb 2019, 07:59 PM

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ অন্যান্য অতিথিরা।

সারা দেশ থেকে তিন হাজার ৭৯৬ জন প্রতিযোগীর পাঠানো সাত হাজার ৮৯২টি আচারের মধ্য থেকে ২০১৮ সালের বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন বিচারকরা।

আয়োজকরা জানান, এবারের প্রতিযোগিতায় বর্ষসেরা আচার পুরস্কার বিজয়ীদের দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পঞ্চাশ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ওয়াশিং মেশিন এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসাবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয় ৩৫ জনকে।

অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আচার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমাদের নারীরা বহুকাল থেকে বাড়িতে আচার তৈরি করে আসছেন, যা আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তোলে।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার প্রাণ আয়োজিত ১৯তম জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

“আমরা অনেক মজা করে আচারের স্বাদ নিলেও অনেক সময় যারা কষ্ট করে তৈরি করেন তাদেরকে ধন্যবাদ বা স্বীকৃতি দিতে ভুলে যাই। আচারের স্বীকৃতি দিতে প্রাণের এ ধরনের উদ্যোগ নারীদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তৈরি আচার খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেও ভালো আচার তৈরি করেন।”

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, “প্রাণ গ্রুপ সব সময় এ দেশের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলই ‘প্রাণ’ এর প্রাণ। এদেশের কৃষকের পণ্য নিয়েই প্রাণ বিশ্ববাজারে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের ‘প্রাণ’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হচ্ছে।

“নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। নারীদের কাজকে সম্মান জানাতেই আমরা ১৯ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি।”

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার প্রাণ আয়োজিত ১৯তম জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটারিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

১৯ বছর আগে প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীই এ ধরনের প্রতিযোগিতার সুচনা করেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় টক বিভাগে চট্টগ্রামের নূরী মুসাইয়াদাহ প্রথম পুরস্কার, ঢাকার শাবানা দ্বিতীয় পুরস্কার এবং নারায়ণগঞ্জের আফিয়া আজিজা তৃতীয় পুরস্কার জেতেন।

মিষ্টি বিভাগে যশোরের সৈয়দা আসমা প্রথম পুরস্কার, ঢাকার রাফেজা রশীদ দ্বিতীয় পুরস্কার ও টাঙ্গাইলের ছালমা মালেক তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

ঝাল বিভাগে বরিশালের আবিদা সুলতানা পুথম পুরস্কার, ঢাকার শারমিন জামান দ্বিতীয় পুরস্কার এবং খুলনার মর্জিনা খানম তৃতীয় পুরস্কার পান।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার প্রাণ আয়োজিত ১৯তম জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটারিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যান্য বিভাগে ঢাকার ফারজানা আফরিন প্রথম পুরস্কার, লায়লা ইয়াসমিন দ্বিতীয় পুরস্কার এবং খুলনার অপরুপা তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।  

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাসসারা সুলতানা রত্নার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নির্বাচন করেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক ইসরারুল হক উপস্থিত ছিলেন।