এমএনপি: বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন

মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল বা এমএনপি সেবা শুরুর পর প্রথম তিনমাসে সব চেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রাহক সংখ্যার শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোন। আর এমএনপিতে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর রবি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2019, 03:18 PM
Updated : 15 Jan 2019, 03:38 PM

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার পাওয়া গেছে এই চিত্র। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে কম গ্রাহক হারিয়েছে গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটক। এমএনপিতে তারাই সবচেয়ে কম গ্রাহক পেয়েছে। 

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এক লাখের বেশি গ্রাহক এমএনপি সেবা নিয়ে তাদের অপারেটর বদলে ফেলেছেন। গ্রামীণ ফোনের ৪৯ হাজার ৬৫৮ জন গ্রাহক এই সময়ে আগের নম্বর রেখে অন্য অপারেটরে চলে গেছেন।

আর আগের নম্বর ঠিক রেখে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক ভিড়েছেন রবিতে। তিন মাসে এমএনপিতে ৭২ হাজার ৫ গ্রাহক পেয়েছে রবি।

অক্টোবর-ডিসেম্বর: এমএনপিতে অপারেটর বদল

 

গ্রাহক হারিয়েছে

নতুন গ্রাহক পেয়েছে

মোট গ্রাহক (ডিসেম্বর শেষে)

গ্রামীণফোন

৪৯৬৫৮ জন

১০৪৯১ জন

৭ কোটি ২৭ লাখ

রবি

১৮২২৮ জন

৭২০০৫ জন

৪ কোটি ৬৮ লাখ

বাংলালিংক

৩২২৫৬ জন

২২৩২৫ জন

৩ কোটি ৩৫ লাখ

টেলিটক

২২৯৩ জন

১৫২২ জন

৩৮ লাখ ৫৪ হাজার

২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৫ কোটি ৬৯ লাখ মোবাইল সক্রিয় সিম রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের হাতে। তাদের প্রায় অর্ধেকই গ্রামীণ ফোন ব্যবহার করেন।

কিন্তু গ্রাহক সংখ্যার অনুপাতে তরঙ্গ না কেনায় দিন দিন গ্রামীণফোনের সেবার মান পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। বিশেষ করে কলড্রপ নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ সবচেয়ে বেশি।

 
 
 

যারা ইচ্ছা থাকার পরও নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কি এড়াতে অপারেটর বদলাতে পারছিলেন না, তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় ‘মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি’ বা এমএনপি সেবা।

আগের নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলাতে একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা ফির সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা দিতে হত। তবে সরকার সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এ খরচ কমিয়ে ৫৮ টাকা নির্ধারিত করে।

লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক এই সেবার জন্য ‘নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজের’ কাজ করছে।