পোশাক শিল্পের চারটি প্রদর্শনী বৃহস্পতিবার থেকে

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের চারটি আর্ন্তজাতিকপ্রদর্শনী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে।

পোশাক শিল্পের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে এ সব প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

জাকারিয়া ট্রেড আ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েসন (বিজিএপিএমইএ) সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীগুলোর আয়োজন করছে।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রদর্শনীর আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস, গার্মেন্টস অ্যাকসেসোরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং প্রিন্টিং মেশিনারিজ অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে প্রদর্শনী চারটির আয়োজন করা হয়েছে।

বসুন্ধরার ১০টি হলজুড়ে প্রদর্শনীগুলোতে ২৪টি দেশের ৫১০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। 

পোশাক শিল্পের মেশিনারি এবং সহায়ক পণ্যের ১৮তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী গার্মেন্টেক বাংলাদেশ ২০১৯, ১০ম ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক র্সোসিং ফেয়ার, ১০ম গ্যাপেক্সপো২০১৯ এবং প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৯ শীর্ষক প্রদর্শনী চারটি চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ভারত, চীন, দক্ষিন কোরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া, মালয়শিয়া, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স এবং হংকংয়ের মোট  ৫১০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচত্র্যতা এবং মোড়কজাতকরণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি উপস্থাপন করবে বলে জানান আয়োজকরা।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। এমন অবস্থায় এ খাতকে উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচিত্র্যতা এবং মোড়কজাতকরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।

“এবারের আসরে তৈরি পোশাক খাতের সামনে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ খাতের জন্য সহায়ক পণ্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি আয়োজিত প্রদর্শনী চারটি দেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলবে।