মোবাইলের ব্যবহারে স্বাস্থ্য সমস্যা দূরের চার প্রস্তাব অসলোতে

নরওয়ের অসলোতে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের চূড়ান্ত পর্বে মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে চারটি নতুন ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 01:54 PM
Updated : 11 Dec 2018, 01:54 PM

গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ছয় মাসব্যাপী বৈশ্বিক টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে বাংলাদেশ থেকে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের দুজন বিজয়ী টেলিনরের অন্যান্য বিজনেস ইউনিটের (বিইউ) বিজয়ীদের সাথে অসলো পর্বে যোগ দিয়েছেন। 

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের ১৬ জন প্রতিনিধি (২০১৮-২০১৯ কর্মসূচির জন্য) বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গত চার দিন ধরে অসলোতে এর সমাধান নিয়ে কাজ করছেন।

স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো হলো- কৃষি উপযোগিতা বৃদ্ধি, বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা, অসংক্রামক রোগের সংক্রমণ হ্রাস এবং জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান বয়স্কদের সহায়তা দেওয়া। মঙ্গলবার প্রতিনিধিদের চারটি দল তাদের প্রস্তাবনাগুলো বিচারকদের সামনে তুলে ধরেন।

গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বাংলাদেশ ইউনিট থেকে বৈষম্য দূরীকরণে সেরা ধারণা হিসেবে বিজয়ী হয় সায়মা মেহেদী খান ও সামীন আলম। তাদের প্রস্তাবিত ধারণাগুলো ছিল যথাক্রমে ‘কৃষিনেট’ ও ‘প্রজেক্ট শুকতারা’।

বৈষম্য দূর করে উপার্জন বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়নে ‘কৃষিনেট’র ধারণা প্রস্তাব করেন সায়মা মেহেদী খান। আর যৌন হয়রানি থেকে রক্ষায় ‘প্রজেক্ট শুকতারা’র ধারণা প্রস্তাব করে সামীন আলম। 

সায়মা বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ প্রকল্পে হেড অফ টেলিনর রিসার্চ বিয়র্ন টালে স্যান্ডবার্গের সাথে এবং সামীন টেলিনর রিসার্চ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউ এর হাই লেভেল এআই এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্য আয়েভা মার্টনকেনাইটের সঙ্গে কৃষি বিষয়ে কাজ করবেন।

এ নিয়ে টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কে বলেন, “নোবেল শান্তি পুরস্কারের সময়ে আমরা নোবেল পিস সেন্টারের যৌথ সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পরিচালনা করছি। আমাদের লক্ষ্য প্রয়োজনীয় সামাজিক নানা সমস্যার টেকসই ডিজিটাল সমাধান নিয়ে আসা। আমরা তাদের প্রস্তাবিত ধারণা দিয়ে রোমাঞ্চিত।”

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, “বিজয়ী দুই তরুণের জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ। তারা শুধু একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মেই অংশগ্রহণ করবে না পাশাপাশি এ অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাদের আরও অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করবে। বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এটা সহায়তা করবে। এ বছরের টিওয়াইএফর প্রতিপাদ্য ‘ব্রাইট মাইন্ডস রিডিউসিং ইনইকুয়ালিটিস’র লক্ষ্য প্রত্যক্ষভাবে সমাজের ক্ষমতায়ন।”