৩০ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল চীনের পাঁচটি প্রদেশে কর্মশালায় অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি এবং ইউনান-বেঙ্গল বিজনেস কনসালটেশন কোম্পানির (ওয়াইএনবিবিআইসি) যৌথ উদ্যোগে কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মশালায় অংশ নিতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শনিবার চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ১১ থেকে ১৭ নভেম্বর এ কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ১৭টি ওষুধ কোম্পানির ৩০ জন প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, দি একমি ল্যাবরেটরিজ, এরিষ্টোফার্মা, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বায়োফার্মা লি, ডেল্টা ফার্মা, এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিমেড এন্ড ইউনিহেলথ ম্যানুফ্যাকচারার্স, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নেক্সাস ইন্টারন্যাশনাল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় দেশের প্রথম ওষুধ শিল্পপার্ক অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) উদ্বোধন করেছেন।
২০০ একর জমিতে এই শিল্পপার্ক গড়ে উঠেছে।
এ শিল্পপার্কে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং এখান থেকে দেশের ওষুধের চাহিদা শতভাগ পূরণের পর রপ্তানিও করা হবে।
এ প্রকল্পের সর্বশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮১ কোটি টাকা। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ২০০৮ সালে সরকার এই শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।
ওষুধ সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ঔষধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে ঔষধ শিল্প সমিতি বদ্ধপরিকর।
“সমিতি চায় এপিআই শিল্প পার্কের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সম্ভাব্য কম সময়ে উৎপাদন শুরু করা। এই উদ্দেশ্যেই প্রতিনিধিদল চীন সফর করছে।”
প্রতিনিধিরা চীনের ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনকারী গুরুত্বপূর্ণ কারখানাসমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিনিময়, বিনিয়োগ সহযোগিতাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে চীনের প্রতিনিধি ওষুধ শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ওষুধ কাঁচামাল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।