গত এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চায়ের দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক চায়ের নিলামে দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
মহাখালীর ওয়্যারলেস গেইট এলাকার চা বিক্রেতা মোজাম্মেল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিলন, ইস্পাহানিসহ বিভিন্ন কোম্পানির পাতা ব্যবহার করেন তিনি। কোম্পানির বিপণন বিভাগের পক্ষ থেকেই তার দোকানে চায়ের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়।
চায়ের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুই সপ্তাহ আগেও এসব কোম্পানির এক কেজির প্যাকেট ২৯০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। গত সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। এখন লাগছে ৩৫০ টাকা।”
মহাখালীর মুদি দোকান শফি স্টোরে ১৫ দিন আগের চালানে আসা ইস্পাহানির আধা কেজি ওজনের প্যাকেটের গায়ে ১৭৫ টাকা দাম লেখা দেখা যায়। পাশের আরেক দোকানে সম্প্রতি আনা তাজা ব্র্যান্ডের চারশ গ্রামের প্যাকেটে দাম লেখা দেখা যায় ২০০ টাকা।
চায়ের দাম হঠাৎ বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ন্যাশনাল টি কোম্পানির সরবরাহ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকমকে বলেন, “চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ায় অকশনে দাম অনেক বেড়ে গেছে। ছয়মাস আগেও নিলামে চায়ের দাম কেজিতে গড়ে আড়াইশ টাকা ছিল। এখন সেই দাম উঠেছে তিনশ টাকায়। ফলে কোম্পানিগুলো দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।”
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় চা ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলতি বছর চায়ের দাম কেজিতে অন্তত একশ টাকা করে বেড়েছে।চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই অবস্থা। গত দুই বছর ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চায়ের উৎপাদন কম হচ্ছে।”
বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসাবে দেশে নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা ১৬৪টি। এসব বাগানে ২০১৭ সালে সাত কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়। তার আগের বছর উৎপাদন ছিল প্রায় সাড়ে ৮ কোটি কেজি।
চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত আট মাসে প্রায় চার কোটি ২৮ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের প্রকৃত উৎপাদনের চেয়ে কম ধরা হয়েছে।