বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মন্ত্রণালয়ের দিকে রওনা হয়। কিন্তু সচিবালয়ের গেইটে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শ্রম মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ‘আপত্তিপত্র’ দিয়ে আসে।
জলি তালুকদার সচিবালয়ের সামনে বলেন, “আমরা মিছিল নিয়ে এসেছি কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ ভাইদের কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা, আপনাদের আত্মীয়-স্বজনও তো গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করে। তাদের কাছে থেকে খবর নেন, আট হাজার টাকায় কী সংসার চলে?”
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের হাতে যদি আট হাজার টাকা ধরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে মাসের কয় দিন আপনারা চলতে পারবেন? সেই হিসাবটা আমাদেরকে দেন।”
শ্রমিক সংগঠনগুলো এবার ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়ে এলেও সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর যে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দেয়, সেখানে ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়।
সরকারের ওই ঘোষণাকে ‘আমানবিক’ হিসেবে বর্ণনা করে জলি তালুকদার বলেন, এর মধ্যে দিয়ে ৫০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বরাবরে লেখা ওই আপত্তিপত্রে বলা হয়, “গণমাধ্যমে আপনার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ন্যায্যতার বিচারে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে প্রক্রিয়াগত ও আইনি ব্যত্যয়ের ফলে শ্রমিকপক্ষের অংশগ্রহণ, আপত্তি প্রদান এবং ন্যায্য মজুরি নির্ধারণের পথ রুদ্ধ হয়েছে।”
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “আপনারা নিজেরা যে আইন তৈরি করেছেন সেই আইন পড়ে দেখেন, সেটা আপনারা লঙ্ঘন করেছেন। আপনারা যখন আইন লঙ্ঘন করেন তখন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে সেই হিসাব আমাদেরকে দিতে হবে।”
ঘোষিত মজুরি কাঠামো প্রত্যাহার করে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয় ওই আবেদনে।