রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যালায়েন্সের কার্যনির্বাহী পরিচালক জেমস মরিয়ার্টি বলেছেন, “আমরা আর এক্সটেনশন (কাজের মেয়াদ) চাচ্ছি না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অ্যালায়েন্স এখানে থাকবে না।”
২০১৩ সালে ভয়াবহ রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সংস্কার ও পরিবেশের উন্নয়নে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ক্রেতাদের দুটি জোট বাংলাদেশে কাজ শুরু করে।
‘দি অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কাস সেফটি’ নামে উত্তর আমেরিকার সংগঠনটি অ্যালায়েন্স নামেই পরিচিতি পায়; ইউরোপের ক্রেতাদের জোটটি অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ ‘অ্যাকর্ড’ নামে পরিচিতি পায়।
প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানা মূল্যায়নের ভার পড়ে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের উপর। তবে তাদের মূল্যায়নে কারাখানার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে দেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা।
সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেশের ‘সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি)’ পুরোপুরি প্রস্তুত।
সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় ব্যবসায়ীদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ গড়ে তুলেছে আরসিসি।
সরকারের চাপেই কি বাংলাদেশ ছাড়তে হচ্ছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ‘না’ সূচক উত্তর দেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক সময় কাজ করে যাওয়া মরিয়ার্টি।
তিনি বলেন, “আমাদের যে কাজ ছিল, তা বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হয়ে যাবে।”
এই কাজের আওতায় ২০১৪ সালে একটি ‘হেলপলাইন’ চালু করে অ্যালায়েন্স, যাতে শ্রমিকরা তাদের কথা বলতে জানাতে পারতেন।
‘আমাদের কথা’ শীর্ষক এই হেলপলাইনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে রোববার ওয়েস্টিন হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
এতে জানানো হয়, এখন ‘আমাদের কথা’র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ফুলকি, তাদের সহায়তা দেবে লেবার ভয়েস ও লেবারলিংক।