মঙ্গলবার মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার্স ডেনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন,“বাংলালিংক ইনোভেটর্স মেধাবী তরুণদের মনে পরিকল্পনা, অভিনবত্ব ও সৃষ্টিশীলতার বীজ বপন করবে।
”বাংলালিংকে আমরা এমন একটি সহযোগিতামূলক কর্ম-সংস্কৃতি তৈরি করেছি যা বর্তমান প্রজন্মকে এর সাথে নিযুক্ত হয়ে তাদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, তাতে মেধাবী তরুণদের অভিনব চিন্তাধারা নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমরা আশা করি।
”ভবিষ্যতেও আমরা তরুণদের মেধাকে যথাযথভাবে মূল্যায়িত করে তাদেরকে বাংলালিংকের যাত্রার অংশীদার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিভাবান প্রতিযোগীদের বাছাই করে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য আরও কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে বাংলালিংক ইনোভেটর্স।
সুনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত বিজয়ী দল পাবে আমস্টারডামে অবস্থিত বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন ও বাংলালিংকের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগ।
সেরা ৩টি দল পাবে বাংলালিংকের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার।
এছাড়া সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্য বাংলালিংকে অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে (এআইপি) সরাসরি যোগদান করতে পারবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের বাংলালিংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে রেজিস্ট্রেশনের সময় ১৭ জুলাই থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত।
দেশের ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোড শো ও ক্যাম্পাস ব্র্যান্ডিং আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে তরুণদের অবগত করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এর আগে বাংলালিংক ইনোভেটর্সের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালে।