জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, “বিগত অর্থবছরে স্থানীয় পর্যায়ে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শুরু করেছে। এ খাতে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় কাঁচামালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি।”
দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমকে প্রণোদনা দিতে ‘মোবাইল টেলিফোন সেট’কে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিতে একটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করেন মুহিত।
“এছাড়া স্থানীয় মোবাইল উৎপাদনের উপর সারচার্জ অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করে আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করছি।”
এর ফলে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে।
মোবাইল ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে। এ শুল্ক বেশিরভাগ পণ্যর ক্ষেত্রে এক শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, “একই সাথে দেশে তৈরি হয় না এমন সফটওয়্যার যেমন- ডাটাবেইজ, প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক সর্বক্ষেত্রে ৫ শতাংশে হ্রাসের প্রস্তাব করছি।”
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ৪.৫ শতাংশ এর স্থলে ৫ শতাংশ হারে মূসক বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জন্য মোট ৬ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।