মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের আগে সোমবার ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ এ তথ্য জানান।
ব্যাংকের কার্যক্রম, অর্জন, আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রাইম ব্যাংক ২০১৫ সাল থেকে বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে। গঠনগত এই পরিবর্তন প্রাইম ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে।
“ভবিষ্যতে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে এসএমই এবং ভোক্তা ঋণ বৃদ্ধি করা। যাতে গ্রহীতাদের কাছে সহজে ঋণ পৌঁছানো যায় সেটাই চেষ্টা করব।”
এসএমই ও ভোক্তা ঋণ বাড়ানোর পরিমাণ জানতে চাইলে রাহেল আহেমদ বলেন, “২০১৭ সালে ব্যাংকের দেওয়া মোট ঋণের ২২-২৪ শতাংশ ছিল এসএমই ও ভোক্তা ঋণ, যা ২০২১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে এসএমই ও ভোক্তা ঋণের সুফল পৌঁছে দিতে ৮০টির বেশি শাখায় বিশেষজ্ঞরা কর্মরত আছেন।
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে এসএমইতে অবদান ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তারল্য সংকট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ব্যাংকিং সেক্টর বিপর্যয়ের মধ্যে আছে বলে আমি মনে করি না। চড়াই-উৎরাই থাকবেই, একটু ধৈর্য ধরতে হবে, রাতারাতি পরিবর্তন আসবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চেষ্টা করছে, সাত-আট মাসের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হতে শুরু করবে।”
১৯৯৫ সালের ১৭ এপ্রিল ‘একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক’ এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
২০১৭ সাল শেষে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯০১ কোটি টাকা, বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
দেশজুড়ে ব্যাংকটির ১৪৬টি শাখা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাইম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম রব্বানী, মো. তৌহিদুল আলম খান, সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।