বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শুরু এ মেলা চলবে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন আয়োজিত এ মেলায় সাতটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ ৪৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এসেছে বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানও।
আগ্রহীরা একই ছাদের নিচে এসে কোন আবাসন কোম্পানি কী দামে প্লট বা ফ্ল্যাট দিচ্ছে তার পাশাপাশি তা নিতে কোন ব্যাংক কত শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে- জানতে পারবেন তাও।
এর মধ্যে মেলা উপলক্ষে এককালীন মূল্য পরিশোধে ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে পূর্বাচল মালুম সিটি।
রাজউক পূর্বাচলের ৪ ও ২১ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন এই আবাসনে প্রতি কাঠা জমি ১৪ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ ৭২ মাসের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালুম গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মেশকাত হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রতি কাঠা জমি ১ লাখ টাকায় বুকিং দিয়ে বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
“গৃহায়ন মেলায় যেহেতু এক সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, তাই গ্রাহকরাও একই জায়গা থেকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বাড়ি বানানো বা ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ পাবেন।”
মেলায় আসা ক্রেতারাও জানালেন, বেশি পরিমাণ ছাড়ের সুবিধা নিতে একাধিক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখছেন তারা।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন বলেন, “কে কেমন সুবিধা দেয় তা তো জানতাম না। এখানে বিভিন্ন স্টল আছে, ঘুরে দেখতেছি। যেখানে বেশি কিস্তির সুবিধা পাব, সেখান থেকেই কিনব।”
সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম নবী মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রথমবারের মতো গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দেড় বছর ও ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্র ছয় মাস পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছি।
“যেহেতু ঋণ নেওয়ার পর বাড়ি বানাতেও সময় লাগে, তাই ঋণ নেওয়ার পরের মাস থেকে কিস্তি দেওয়াটা গ্রাহকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। সে কারণেই আমরা তা ঋণদানের দেড় বছর পর থেকে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছি।”
৯ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটি। ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছে তারা।
মেলায় অংশ নেওয়া জাপান গার্ডেন সিটির সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাকসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৮৬৮ থেকে ২০৫৬ বর্গ ফুটের অ্যাপার্টমেন্টগুলো তারা ৩০ শতাংশ এককালীন পরিশোধের পর মাসিক কিস্তিতে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন।
তবে ক্রেতারা নগদ অর্থে ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটি কিছুটা ছাড় দেবে।
“৯ শতাংশ সুদে আমরা ঋণ দিচ্ছি। তবে, ঢাকার বাইরে যারা আধাপাকা বাড়ি বানাতে চান, তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছি।”
যাত্রাবাড়ী থেকে মেলায় আসা মানোয়ার হোসেন জানান, বাড়ি বানাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধার তথ্য জানতে মেলায় এসেছেন তিনি।
“একার পক্ষে তো বাড়ি বানানো সম্ভব না, অনেক টাকার ব্যাপার। তাই খোঁজ নিতে এলাম, কোন প্রতিষ্ঠান কেমন সুবিধা দিচ্ছে।”