বুধবার দিনাজপুর রেলওয়ে বিভাগের প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান এ কথা জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশে মিটারগেজ রেলপথ থাকায় ব্রিটিশ আমল থেকেই এ রুটে আমদানি-রপ্তানি ছিল। তখন মালবাহী ট্রেন সরাসরি এদেশে আসতে পারত। কিন্তু ২০০৫ সালে ভারতের অংশে ব্রডগেজ রেললাইন হওয়ায় বাংলাদেশে আর মালবাহী ট্রেন আসতে পারত না।
২০০৫ সালের মে মাস থেকে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় বলে তিনি জানান।
প্রকৌশলী রাকিবুল বলেন, গত অক্টোবর মাসে পার্বতীপুর থেকে বিরল স্থলবন্দর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ শেষ হওয়ার পর বুধবার এই রেলপথ দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হলো।
দিনাজপুর কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার তাহের উল আলম বলেন, “বুধবার ভারত থেকে ৪২ ওয়াগন পাথর বাংলাদেশে এসেছে, যার পরিমাণ দুই হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন। এতে বাংলাদেশ সরকারের ১১ লাখ দুই হাজার টাকা রাজস্ব আয় হবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী সহিদুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, রেলপথে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি বিরল স্থলবন্দর চালু ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।