বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য অধিক গতির ইন্টারনেটসহ ফোরজি সেবা নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সফরে এসে মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন চার্লিয়ার।
আগামীতে বাংলালিংক কী ধরনের ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসছে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এমএফএস খাত শুধু অর্থ লেনদেনে সীমাবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি আগামীতে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে ই-কর্মাস বড় অবদান রাখবে।
“আমরা ইলেকট্রনিক অর্থ লেনদেনে আসতে চাই এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে আরও অবদান রাখতে চাই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমএফএস গাইড লাইন সংশোধন করছে, আমরা আশা করি নতুন গাইডলাইনে অপারেটররা সরাসরি এমএফএস অপারেশনে যেতে পারবে।”
ভিম্পেলকমের সিইও বলেন, বিভিন্ন অবকাঠামোর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুবিধা দেওয়ার উপযুক্ত।
“আমরা এমন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, যেখানে মোবাইল অপারেটররা প্রচলিত সেবার সাথে সাথে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাগুলো দিতে পারবে। এটি বাংলাদেশের মানুষ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ায় বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, এই পরিবর্তনটিকে কীভাবে দেখছেন-এ প্রশ্নে চার্লিয়ার বলেন, “রবি এয়ারটেলের একীভূত যাত্রা দেশের মোবাইল বাজারে অনেক পরিবর্তন আনবে। এই মার্জার বাংলাদেশে আমাদের পরিকল্পনায় একটি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।”
বাংলাদেশের বাজার দ্রুত গতির ফোরজি সেবার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ফোরজি-র মতো আরও উন্নত সেবাদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি ফোরজি সেবা নিয়ে আসার জন্য মোবাইল অপারেটরদের আশ্বস্ত করতে হবে এবং আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে সকল ব্যান্ডে তরঙ্গের সুষম বণ্টন নিয়ে আসার মাধ্যমে এটি করা সম্ভব হবে।”
ভিম্পেলকম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে, বাংলাদেশ এ খাতের ব্যবসা কতটুকু পরিপক্কতা পেয়েছে- এ প্রশ্নে চার্লিয়ার বলেন, “গ্রাহক ও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজার অনেক বেশি পরিণত। মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন।
আগামীতে বাংলালিংকে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ভিম্পেলকমের প্রধান নির্বাহী বলেন, “এ পযর্ন্ত দুই দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ বছর ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
এ সময় বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস, বাংলালিংকের সিনিয়র ডিরেক্টর অব জিআর অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভিম্পেলকম লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম চলছে।