সমঝোতায় বিজিএমইএ সভাপতি হলেন সিদ্দিকুর

ভোট ছাড়াই বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি হয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2015, 04:02 PM
Updated : 17 Sept 2015, 04:54 AM

সমঝোতার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ২০১৫-১৬ মেয়াদে সংগঠনটির প্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে বুধবার নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

৮ সেপ্টেম্বর বিজিএমইএর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় নির্বাচন ছাড়াই সভাপতি হলেন সিদ্দিকুর।

এই দুই প্যানেলের শীর্ষ নেতারা আগেই বসে ঠিক করেছিলেন, আগামী দুই মেয়াদে বিজিএমইএর সরাসরি কোনো নির্বাচন হবে না। অর্থ্যাৎ সাধারণ ভোটারদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে না। সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।

সে সমঝোতা অনুযায়ী, প্রথম মেয়াদে সংগঠনটির নেতৃত্ব দেবেন স্টারলিং গ্রুপের এমডি সিদ্দিকুর। তিনি সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল থেকে বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এই মেয়াদে নির্বাচিত সাতজন সহ-সভাপতির মধ্যে চারজনই সম্মিলিত পরিষদের। আর বাকি তিনজন এসেছেন ফোরাম থেকে। 

পরের মেয়াদে ফোরাম থেকে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আর সহ সভাপতি পদে থাকবেন এ প্যানেলের চারজন।

নতুন কমিটিতে পরিচালক এবং সহ-সভাপতির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিদায়ী কমিটিতে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ২৭ জন থাকলেও তা বাড়িয়ে ৩৫ জন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের ২০ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৭ জন পরিচালক থেকে বাড়িয়ে ঢাকায় করা হচ্ছে ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯ জন।

একই সঙ্গে এবার সহ-সভাপতি পদ বাড়ানো হচ্ছে তিনটি। অর্থাৎ বর্তমানে একজন সভাপতি ও চারজন সহ-সভাপতির স্থলে আগামী মেয়াদে একজন সভাপতির সঙ্গে থাকবেন সাতজন সহ-সভাপতি।

গত নির্বাচনে ২৭ পরিচালক পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে ৫৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

এবারের নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন  বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন।

গত ১৫ আগস্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩ প্রার্থী তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হন।

নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন জানান, নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমানই শুধু সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাকেই সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যদিকে সাত সহ-সভাপতি পদে কেবল সাতজনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এই সাত জন হলেন, প্রথম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, মোহাম্মদ নাসির, মাহমুদ হাসান খান বাবু, ফেরদৌস পারভেজ বিভন এবং মোহাম্মদ ফেরদৌস।

এদের মধ্যে প্রথম চারজন সম্মিলিত পরিষদের এবং শেষের তিনজন ফোরম থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।