২০১৫ সালে শুরুর পর উদ্যোগটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে গ্রামীণফোনের ভাষ্য।
Published : 28 Feb 2025, 04:52 PM
দেশের উদীয়মান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের ‘জিপি এক্সিলারেটর’ কর্মসূচির আওতায় ২০টি বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গালা নাইট’ আয়োজনের মাধ্যমে এ উদযাপন হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদযাপন এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০ জন ‘কমিউনিটি বিল্ডারে’র ভূমিকার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
দেশে প্রতিভাবান তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কিংয়ে সুযোগ তৈরি এবং যথাযথ দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সাফল্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে গ্রামীনফোনের এ উদ্যোগ।
গ্রামীনফোন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে তাদের এ উদ্যোগ। এর আওতায় দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মশালার (বুটক্যাম্প) মাধ্যমে ৫ হাজার ২ শর বেশি স্টার্টআপকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্যোগে অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, দিক-নির্দেশনা এবং অর্থায়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করা হয়, যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে টিকে থাকতে পারেন। ২০১৫ সালে শুরুর পর উদ্যোগটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী।
তিনি বলেন, “তরুণরাই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে অপারেটরটির যে প্রচেষ্টা তা সত্যিই প্রশংসনীয়, এই উদ্যোগ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তাদের মাঝে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখেছি। আমরা সেই ২০ জন বিজয়ী উদ্যোক্তার (স্টার্টআপের) সাফল্য উদযাপন করছি, যারা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিজেদের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।”
বিজয়ী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক এবং গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।