কৃষির পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ দিতে ৫০ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি

গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৪ শতাংশ।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় লেটুস ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পাঁচ হাজার কোটি টাকা কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

রোববার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ তহবিলের অর্থ বরাদ্দে ৫০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুনভাবে গঠিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এজন্য ব্যাংকগুলোকে যথাযথভাবে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে নির্দেশনা দেন তিনি।

গত নভেম্বরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে এর মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

কৃষি ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার ৮ শতাংশ হলেও পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে সেই অর্থ নিতে পারবে।

এ তহবিলের অর্থ কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় উল্লেখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গা চাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

এদিকে চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ধরে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কৃষিখাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল