এবারের নির্বাচনে ৪৭৬ জন সদস্য ভোট দিয়ে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য তাদের নেতা নির্বাচন করছেন।
Published : 27 Feb 2024, 11:42 AM
দেশের আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নতুন পর্ষদ নির্বাচনে ভোট চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়ে ১৯২টি।
রিহ্যাব নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত কুমার দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচন যথাসময়ে শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ এলাকার পুরো রুম সিসিটিভির আওতায় আছে। নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে। আমরা আশা করছি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ করতে পারব।”
এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছর পর নির্বাচিত কমিটি পেতে যাচ্ছে দেশের আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সমিতি রিহ্যাব। এ সংগঠনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেই কমিটির মেয়াদপূর্তির পর পর্ষদ গঠিত হচ্ছিল সমঝোতার ভিত্তিতে।
সর্বশেষ ২০২১ সালে সব প্রার্থীকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়, টানা চতুর্থবারের মত সভাপতি হন আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।
এবারের নির্বাচনে ৪৭৬ জন সদস্য ভোট দিয়ে ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।
ঢাকার ২৬টি পরিচালক পদের বিপরীতে ৮৬ জন এবং চট্টগ্রামের তিনটি পরিচালক পদের বিপরীতে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে লড়াই করছে চারটি প্যানেল; সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ‘আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’, সেঞ্চুরি রিয়্যালটির চেয়ারম্যান এম জি আর নাসির মজুমদারের নেতৃত্বে ‘ডেভেলপারস ফোরাম’, রিহ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলালের নেতৃত্বে ‘নবজাগরণ’ প্যানেল এবং সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্ব ‘জয় ধারা’ প্যানেল নির্বাচনের অংশ নিচ্ছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের কমিশন গঠন এবং ভোটার তালিকায় অনিয়ম নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলার কারণে তা স্থগিত হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সংগঠনটির সব ব্যাংক হিসাবও স্থগিত হয়।
পরে গত নভেম্বরের শেষ দিকে রিহ্যাবের কমিটির বর্ধিত মেয়াদ স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রশাসক পদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস দায়িত্ব নেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত কুমার দে'কে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। বোর্ডের বাকি দুই সদস্য হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুসরাত আইরিন এবং মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
এরপর ৩ ডিসেম্বর নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা হয়। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৫ জানুয়ারি।
প্রথমে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হলেও সেটি পালটে ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।