রপ্তানিতে এক টাকা এবং রেমিটেন্সে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে নতুন দর ঠিক করে দিল বাফেদা ও এবিবি।
Published : 01 Jun 2023, 01:42 AM
রপ্তানি ও রেমিটেন্সের বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার এক মাসের মধ্যে দুইবার সমন্বয় করল ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি।
বুধবার বিকালে দুই সংগঠনের যৌথ সভায় ডলারের দর রপ্তানিতে এক টাকা এবং রেমিটেন্সে ৫০ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন দরে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো রেমিটেন্স প্রতি ডলারে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাওয়া যাবে; রপ্তানিকারকরা ১০৭ টাকা করে পাবেন।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে; যেদিন সংসদে নতুন অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) বাজেট উপস্থাপন হচ্ছে।
এর আগে ১ মে ডলারের দর নির্ধারণ করে রেমিটেন্সে ১০৮ টাকা এবং রপ্তানিতে ১০৬ টাকা করা হয়েছিল। সেই হিসেবে দরের ব্যবধান কমে ২ টাকা থেকে দেড় টাকায় নামল।
যদিও ওই সভায় রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ডলার দরের ব্যবধান অন্তত ২ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বাফেদা‘র চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রপ্তানি আয় বাড়াতে ডলারের নতুন দর ঠিক করা হয়েছে।
“এবিবি ও বাফেদার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি ডলারে রেমিটেন্সে ৫০ পয়সা ও রপ্তানি আয়ে ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে।”
রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ডলারের দর বাড়ল
ভবিষ্যতে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ব্যবধান আরও ‘কমিয়ে আনা’ হবে কিনা এমন প্রশ্নে তার জবাব, “সেটা সামনের দিকে দেখা যাবে। আগাম বলতে পারব না।”
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক দর না রেখে একক দর নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শে আমদানি, রপ্তানি, রেমিটেন্স ও নগদ কেনাবেচায় একাধিক বিনিময় হার না রেখে একটিতে নামিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক; জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের ঘোষণাও এসেছে।
আগামী মুদ্রানীতিতে বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি এবং তা বাস্তবায়নের বিষয়ে ‘বিস্তারিত’ থাকবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ৭ মে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সমাপনী বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ বিফ্রিংয়ে ‘একক রেট’ নির্ধারণের বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি জানিয়েছিলেন, একক হার মানে সবক্ষেত্রে একই বিনিময় হার নয়। তবে প্রতিটি দরের সঙ্গে আরেকটির পার্থক্য হবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।
তার ভাষ্য, “২ শতাংশ ব্যান্ডের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার দর নির্ধারণ করা হবে।”
ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার ক্ষেত্রে গেল বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খাতভিত্তিক দর র্নিধারণ করে দিচ্ছে বাফেদা ও এবিবি। এরও আগে ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
পণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের দর আগের মতই রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা। এটিই আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিনিময় দর হিসেবে ধরা হচ্ছে।