আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলবে অগাস্ট পর্যন্ত।
Published : 10 Jun 2024, 05:45 PM
ম্যাংগ ড্রিংক, জুস, ম্যাংগা বারসহ বিভিন্ন পানীয় ও খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে প্রতিবছরের মত এবারো রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আম সংগ্রহ করে পাল্পিং কার্যক্রম শুরু করেছে প্রাণ।
চলতি বছরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এ কোম্পানি ।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণ জানিয়েছে, গত ১ জুন থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোর একডালায় প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের কারখানায় আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিবছর আম থেকে প্রস্তুত ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক ও জুস বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি করার কথা জানিয়েছে প্রাণ।
বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের (বিআইপি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান রুবেল বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
“শুরুতে গুটি এবং এরপর আশ্বিনা আম সংগ্রহ করা হবে। সরবরাহ থাকা সাপেক্ষে আম সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম চলবে অগাস্ট পর্যন্ত।”
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, “চলতি বছর আমের ফলন অন্যবারের তুলনায় কম হয়েছে। এরপরও আমরা প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
“ক্রেতারা যেন উৎকৃষ্ট মানের পাল্পের ফ্রুট ড্রিংক কিংবা জুস খেতে পারে, সেজন্য আমরা পণ্যের কাঁচামালকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। এজন্য আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চল থেকেই আমরা কাঁচামাল সংগ্রহ করছি।”
তিনি বলেন, “কারখানায় অত্যাধুনিক মেশিনে হাতের স্পর্শ ছাড়া সম্পূর্ণ অ্যাসপেটিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত আমের পাল্পিং করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কোনো রকম প্রিজারভটিভ ছাড়াই পাল্প সংরক্ষণ হওয়ায় দুই বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার উপযোগী থাকে। সংরক্ষিত পাল্প থেকে সারা বছর আমের জুস, ড্রিংক ও মাংগোবার উৎপাদন করা হয়।”