গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়নে পৌঁছেছিল।
Published : 12 Nov 2024, 02:40 PM
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি (রিজার্ভ) ফের ২০ বিলিয়নে নেমে এসেছে।
গেল রোববার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আকুর বিল পরিশোধ করা হয় ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
তাতে বিপিএম৬ পদ্ধতি (আইএমএফ) অনুসরণ করে রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করে থাকে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত; দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তৃতীয়টি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরে রাতে জুলাই-অগাস্টের আকুর বিল বাবদ ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বিল সমন্বয় করা হয়েছিল।
টানা তিন মাসে রেমিটেন্সে ৬ বিলিয়ন এবং রপ্তানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। তাছাড়া আমদানি এলসি খোলার চাপ কম থাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুদ ছিল। নির্ধারিত সীমার চাইতে বেশি ডলার থাকায় তা কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক; তাতে রিজার্ভ বাড়ে। আবার বিদেশি ঋণ এলেও তা রিজার্ভে যুক্ত হয়।
দুই মাস পর গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়নে পৌঁছেছিল। আকুর দায় পরিশোধের পর তা ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে।
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য ছিল। তবে রিজার্ভ সংকটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে। প্রতি দুই মাস অন্তর গড়ে সোয়া এক বিলিয়ন ডলারের মত দায় শোধ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।