দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিও অনুমোদন করা হয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে।
Published : 13 Apr 2023, 12:56 AM
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে থাকায় বাংলাদেশও আগের চেয়ে বেশ কিছুটা কম দামে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সুযোগ পাচ্ছে।
এবার স্পট মার্কেট থেকে একসঙ্গে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ারের কাছ থেকে এক কার্গোতে থাকা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি মোট ৫৬৪ কোটি টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ কেনাকাটায় প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৩৩ ডলার, যা এর আগের কেনাকাটায় ছিল ১৪ দশমিক ৮৪ ডলার।
আরেকটি প্রস্তাবে একই কোম্পানির কাছ থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি মোট ৫৬২ কোটি টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ২৮ ডলার।
এদিন বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) জন্য এক হাজার ২৩৫ কোটি টাকায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সিস্টেমসহ কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
এটির সরবরাহকারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অকুলিন টেক বিডি ও এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল এর যৌথ উদ্যোগ।
পল্লী বিদ্যুতের জন্যই আরেকটি প্রস্তাবে ৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় ১০ হাজার ‘সিটি/পিটি রেটেড অন লাইন থ্রি পেইজ স্মার্ট মিটার সিস্টেম’ টার্ন-কি ভিত্তিতে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ কাজ পেয়েছে এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও অসিয়ন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ।
৬৪ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
বৈঠকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
ঢাকাভিত্তিক জুলস পাওয়ারকে ২০ বছর মেয়াদী এ কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট ১০ টাকা ৬৯ পয়সা হিসেবে ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে’ পদ্ধতিতে এ প্রকল্প স্থাপন করবে কোম্পানিটি। এজন্য সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি টাকা।
পিডিবির আরেকটি প্রকল্পে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৪৪ মেগাওয়াট এসি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে জিয়াংসু ইটিইআরএন, লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ও ফুয়াদ স্পিনিং মিলসের কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন হয়েছে।
২০ বছর মেয়াদে এবং ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে’ ভিত্তিতে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।