বাংলাদেশে সচরাচর যে ফলের চাষ হয় না, ফলনের পর সেই ফল নষ্ট হয়। দেশে অপ্রচলিত এই ফল কী করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে হয় তা অনেক চাষীরই জানা থাকে না।
যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে মুক্তাগাছায় চাষ হওয়া সুস্বাদু, বর্ণময় ও পুষ্টিকর ফল আলু বোখারা নষ্ট হচ্ছে। এই মৌসুমে কমপক্ষে তিন মণ ফলন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আলু বোখারা চাষী মো. শওকত আলী।
তার নার্সারিতে ১২টি পরিপক্ক গাছে ঠাসা আলু বোখারা ফল। প্রতিটি গাছে ফল ধরে। প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রি করা হলে প্রতিকেজি ফলের দাম ১ হাজার টাকা পাওয়া যাবে বলে এই চাষীর আশা।
মুক্তাগাছার মাটিতে আলু বোখারার ফলন ভালো হয়। গুটি কলম করে তৈরি শতাধিক চারা গাছের প্রতিটি ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন শওকত।
আলু বোখারা ফল স্বাদে টক হয়। তবে পেকে গেলে তা মিষ্টি হয়ে যায়। ভারতের কাশ্মীর, হিমালয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানে এই ফলের চাষ হয়ে থাকে বেশ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, বি,সি, কে এবং ই থাকায় এই ফল শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
শহরের রাজঘাট পাড়ে বনলতা নার্সারির মালিক আলু বোখারা চাষী শওকত আলী বলেন, "২০০৯ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলু বোখারার একটি দুর্বল চারা গাছ সংগ্রহ করি । পরে পরিচর্যার মাধ্যমে গাছটি বড় এবং গাছের বংশবৃদ্ধি করা হয়।
"ফলন ভালো হলেও শুধুমাত্র সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের অভাবে উৎপাদিত ফল প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে।"