অবরুদ্ধ দিনে মেঘবিলাস

জয়ন্তসাহা
Published : 26 April 2020, 07:49 PM
Updated : 26 April 2020, 07:49 PM

নগরজীবনের প্রাণচাঞ্চল্য থেমে গেছে মহামারীর প্রকোপে। থেমে গেছে আকাশ ছুঁতে নিরন্তর প্রচেষ্টায় থাকা সুউচ্চ দালান অথবা সারাবেলা আকাশে ধোঁয়া ছেড়ে বেড়ানো সব বিদঘুটে কলকব্জা-মাকু। নির্মল আকাশের সবটুকু জুড়ে এখন তাই মেঘের রাজত্ব।

হা-পিত্যেষের ঘরবন্দি জীবনে মেঘঝরা বিকাল আসে কালেভদ্রে। দিনমান বৃষ্টি ঝরিয়ে শেষ ব্কিালে অথবা গোধূলী বেলায় রাজধানীর আকাশজুড়ে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ওড়াউড়ি শেষ কবে দেখেছে কেউ?

বৃষ্টি ঝরা বিকালে কালেভদ্রে সাতরঙা রংধনু হয়তো হাজির হয় আমাদের দৃষ্টি সীমানায়। যে আকাশ ছেঁয়ে থাকে নিকষ কালো কার্বন মনোক্সাইড,  নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ওজন, সালফার ডাই-অক্সাইড অথবা হাজারো রকমের পার্টিকুলার ম্যাটার বা ক্ষুদ্র ধূলিকণায়, সে আকাশে নির্ভেজাল মেঘ ভেসে বেড়াতে দেখা যেন ভাগ্য।

বৃষ্টির টুপটাপ আর ঝরোঝরো গানের পরে গোধূলীবেলায় অস্তগামী সূর্যের রঙে মেঘময় বিকালের অপেক্ষায় কতকাল থেকেছি। মহামারীর দিনগুলোতে সে ব্কিালগুলো ফিরে এসেছে আবারও। গোধূলীর বিস্তীর্ণ আকাশে চোখ মেললেই এখন মেঘের হরেক রকমের খেলা দেখা যাবে। একটু অপেক্ষা করলেই পড়ন্ত বেলায় নীড়ে ফেরা পাখিটি এসে গুণগুণিয়ে গান শোনাবে।

সকলের সম্মেলক প্রার্থনার রব উঠে গোধূলীবেলায়। এইসব ভাইরাসের কাল প্রলম্বিত না হোক, পীড়িতরা আরোগ্য পাক দ্রুত; ক্রন্দনরত চোখে  আর্তজনেরা মোনাজাতে আর্জি জানায়  ঈশ্বরের কাছে। সান্ধ্যপ্রার্থনায় জ্বলে উঠা প্রদীপগুলোর শিখা ক্রমশ উজ্জ্বল হলে দুহাত বিধাতার কাছে প্রার্থনা করে,  'তুমি নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে'।