ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর তদন্তে ‘নেই অগ্রগতি’, প্রতিবেদন দিতে আরও সময়

আগের তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় তদন্তের দায়িত্ব ছেড়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2024, 06:00 PM
Updated : 29 Feb 2024, 06:00 PM

বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় অধিকতর তদন্তের ‘তেমন অগ্রগতি নেই’ ১০ মাসেও; আবার বাড়ানো হয়েছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়।

সবশেষ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন তদন্তের দায়িত্ব ছেড়েছেন অন্য জায়গায় বদলি হওয়ায়। তিনি বলেন, এখনও নতুন কেউ তদন্তের দায়িত্ব পাননি।

বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু প্রতিবেদন জমা না পড়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম আলী হায়দার আগামী ৩ এপ্রিল নতুন দিন রেখেছেন।

আগের তদন্ত কর্মকর্তা বেলায়েত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কয়েকদিন আগে বদলি হয়ে যাওয়ায় তদন্তের দায়ভার ছেড়ে দিয়েছি। এখনও কোনো নতুন তদন্ত কর্মকর্তা দায়িত্ব পায়নি বলে জানি। তদন্তের কোনো ভালো অগ্রগতি থাকলে আপনি জানতে পারতেন।”

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ হত্যা মামলাও সাগর-রুনি হত্যা মামলার পরিণতি পাচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তা যখন অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ১০ মাস পরে হেয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে ফারদিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো নাম বিভাগ, রোল নম্বর ও কোন হলে থাকত জানতে চায়, তখন আদালতের আদেশ ওই তদন্ত কর্মকর্তা মানছেন না বলে প্রমাণিত হয়।”

এর আগে ডিবি পুলিশ আলোচিত এ মামলার তদন্ত করছিল। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

ওই বছরের ১৬ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী ও ফারদিনের বাবা নারাজি দেওয়ার আবেদন করেন। পরে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত।

নিখোঁজের তিন দিন পর ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পূরকৌশল বিভাগের ছাত্র ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূরউদ্দিন রানা রামপুরা থানায় মামলা করেন।

মামলায় ফারদিনের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি জামিন পান তিনি।