জলবায়ু প্রশ্নে বাংলাদেশকে অনুসরণ করুক ধনী দেশগুলো: জিসিএ প্রধান নির্বাহী

প্যাট্রিক ফারকোয়েন মনে করেন, বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। কিন্তু বিষয়টা যখন জলবায়ু পরিবর্তন, সেখানে একা একা কোথাও পৌঁছানো সম্ভব না।

মাসুম বিল্লাহও সৌমিক হাসীনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2023, 07:58 AM
Updated : 2 April 2023, 07:58 AM

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে ধনী দেশগুলো ‘বহু দূরে’ অবস্থান করছে বলে মনে করেন গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক ফারকোয়েন।

কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিকল্পনার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে ধনী দেশগুলো বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অনুসরণ করতে পারে, যারা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব তৈরিতে কম ভূমিকা রেখেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রভাব মোকাবেলায় রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

“কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাংলাদেশের এই লক্ষ্য মহৎ। আর জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ন্যায্যতার প্রশ্নও এটা সামনে আনছে। ধনী দেশগুলোও নিজেদের ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে বাংলাদেশের মত দেশের নেতৃত্ব অনুসরণ করুক, কারণ তারা এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে।”

সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসা প্যাট্রিক ফারকোয়েন যোগ দিয়েছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’-এ। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিকল্পনা ও বিশ্বের অবস্থান নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।  

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু অভিযোজনে কাজ করা নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যাট্রিক ফারকোয়েন ভাগেনিংগেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের গ্লোবাল ফরেস্ট ডিপ্লোমেসির ভিজিটিং প্রফেসর।

অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের পথ তৈরি এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে ১২ মার্চ ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন অধ্যাপক ফারকোয়েন।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ও বিভিন্ন দেশ-প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ডাচ সরকার প্রতিষ্ঠিত জিসিএ’র সুপাইভাজরি বোর্ডের চেয়ারের দায়িত্ব রয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সেন্টারের উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছেন।

২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ২২ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্য বাংলাদেশ ঠিক করেছে, তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন প্যাট্রিক ফারকোয়েন।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য এটা সঠিক পথ। কিন্তু বাংলাদেশ তো আর কোনো দ্বীপ নয়, ফলে একা সেটা করতে পারবে না। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

‘জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন‘

বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসাবে বর্ণনা করে অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, “বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কেবল এখানে সীমাবদ্ধ থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছেন।

“এই পরিকল্পনা আসলে কী? এটা এক দিক থেকে আরেকটি ব্যাপক পরিবর্তন। এটাই ইঙ্গিত করছে, বাংলাদেশ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে বিবেচিত হতে চায় না, বরং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।”

অভিযোজনের আর্থিক লাভের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি জলবায়ু জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে অভিযোজনের পথে না যেত, তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ত। ২০৩০ সাল পর্যন্ত সে ক্ষতির পরিমাণ হত বার্ষিক (জিডিপির) ৮ শতাংশ। সুতরাং জলবায়ু অভিযোজনে বিনিয়োগ করার অর্থনৈতিক দিক রয়েছে। আর সেটাই সরকার করছে।”

তবে সেজন্য বাংলাদেশের যে সহায়তা প্রয়োজন সে বিষয়টি তুলে অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, “বছরে ১২০ কোটি ডলার খরচ করছে জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে, যা অবকাঠামো থেকে শুরু কৃষি প্রভৃতি খাতে বিস্তৃত। কিন্তু প্রতিবছর প্রয়োজন ৮৫০ কোটি ডলার।”

সেই অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘সুদৃঢ় যোগাযোগ’ তৈরি করে দেওয়ার জন্য ঢাকায় আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব উন্নয়ন প্রকল্প যাতে জলবায়ু সহনশীল হয়, সেটাই উদ্দেশ্য।”

গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসে মোংলায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে, সেটা তিনি দেখেছেন সেখানে।

মোংলাসহ বাংলাদেশের ২৫টি এলাকায় ‘জনগণের অভিযোজন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপনি হয়ত পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, বিনিয়োগের সুযোগও হয়ত সেখানে আছে। কিন্তু অর্থায়ন যদি না হয়, তাহলে সেটা অপ্রাসঙ্গিক।

Also Read: কপ-২৭: ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কী, টাকা পাবে কারা?

“এ কারণে আমরা ‘জনগণের অভিযোজন পরিকল্পনাকে’ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করে দিচ্ছি।”

ইতোমধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বিশ্ব ব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশের যোগাযোগ তৈরি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে ভাষাহীনদের ভাষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে এভাবে যে, বিনিয়োগের সুযোগ আছে এমন কোনো পরিকল্পনা যখন টেবিলে উঠছে, তার সঙ্গে সঙ্গে অর্থায়নও প্রস্তুত থাকছে।

“এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। কারণ, বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন।”

বাংলাদেশে কাজ শুরুর পর থেকে ‘অনেক কিছু শেখার’ কথা জানিয়ে অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, “প্রথমটি হচ্ছে অভিযোজনের রয়েছে অর্থনৈতিক তাৎপর্য। অবশ্য অভিযোজনে বিনিয়োগের নৈতিক দিকও রয়েছে।

“এটা অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ যে, অভিযোজেনের পেছনে যদি এক টাকা খরচ করা হয়, তাহলে সেই বিনিয়োগের ফল আসবে তার চেয়ে অনেক বেশি। এটা স্মার্ট অর্থনীতি। প্রাকৃতিক সমাধানে বিনিয়োগ করলে তা অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। সুতরাং এটা কেবল সঠিক কাজ নয়, অর্থনৈতিকভাবে স্মার্ট কাজ।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জি-২০ দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের হার কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, “বাংলাদেশ বড় গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ নয়, কিন্তু এর ফল ভোগ করছে। সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে, তাহলে বাংলাদেশ ও এর মত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ভুগতেই থাকবে।

জলবায়ু অর্থায়নের ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ’

জলবায়ুর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ না করার সমালোচনা করেন জিসিএ প্রধান নির্বাহী।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার পূরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চকণ্ঠ হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অর্থনৈতিক অঙ্গীকার বাড়াতে হবে।

অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, “২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর গ্লোবাল সাউথকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে কত? মাত্র ৮০ বিলিয়ন ডলার।

“যদিও এক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার যথেষ্ট নয়, কিন্তু সেটাওতো দিতে হবে। এটা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, যা আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্যের জন্য নেতিবাচক। এই বিষয়টিও তুলে ধরতে হবে।”

‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ কেবল একটি অনুপ্রেরণা’

গত বছরের নভেম্বরে মিশরে জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে তহবিল সহায়তা দিতে ধনী দেশগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’তহবিল গঠনের চুক্তি করলেও তার বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে মনে করেন অধ্যাপক ফারকোয়েন।

তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ সীমিত রাখা এবং অভিযোজনে অর্থায়ন ঠিকমত চললেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের মত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উপর পড়তেই থাকবে।

“এ কারণে গত বছরের নভেম্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অঙ্গীকার করেছে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনের। কিন্তু বর্তমানে এটা কেবল উৎসাহ হিসাবে থেকে গেছে। তহবিলের অস্তিত্ব নেই। টাকা সেখানে নেই। সুতরাং ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে জোরালো দাবি তুলতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এগিয়ে আসে। এখনো অনেক কাজ করা প্রয়োজন।”

অধ্যাপক ফারকোয়েনের ভাষায়, যখন অর্থের উৎস পাওয়া যাবে, তখন নিশ্চিত করতে হবে যে, জলবায়ু প্রশমন, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং অভিযোজনে অর্থায়ন যেন সমান থাকে।

দরকার জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশের মত দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য জলবায়ু অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী।

তিনি বলেন, অধিক সংখ্যায় মানুষ যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাজধানীতে এসে ভিড় করে, তাহলে তারা কেবল নিজেদের জীবনকে দুর্দশায় ফেলবে না, দেশের অর্থনীতিতে তাদের যে অবদান রাখার কথা, তাও রাখতে পারবে না।

“জলবায়ু অভিবাসীদের সমস্যা জলবায়ু ন্যায়বিচারের সঙ্গে জড়িত। তারা তাদের বাড়ি ছেড়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে এবং তাদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন এক কারণে, যার জন্য তারা মোটেও দায়ী নয়। এ কারণে তাদেরকে আত্মীকরণ করতে হবে, সহযোগিতা দিতে হবে।”

গ্রাম ছেড়ে আসা ব্যক্তিদের শহরে আত্মীকরণের ক্ষেত্রে কেবল বাংলাদেশেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ফারকোয়েন বলেন, “মানুষ গ্রাম ছেড়ে মোংলার মত মাধ্যমিক কোনো শহরে আসছে এবং তাদেরকে আমাদের সহযোগিতা দিতে হবে।”

‘চলছে জলবায়ু বর্ণবাদ’

প্যাট্রিক ফারকোয়েনের ভাষায় বিশ্বব্যাপী এখন ‘জলবায়ু বর্ণবাদী’ শাসন চলছে।

“আমি বোঝাতে চাইছি, গ্লোবাল সাউথের ওপর জলবায়ু সঙ্কটের প্রভাব অসমভাবে পড়ছে। এ সমস্যা তাদের কারণে হয়নি। আবার এটা মোকাবেলার অর্থনৈতিক সক্ষমতা তাদের নেই। ক্ষতিটা তো সমানুপাতে হচ্ছে না।

“এই জলবায়ু বর্ণবাদ হচ্ছে জলবায়ু অবিচার, যেটাকে আমাদের তুলে ধরতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জলবায়ু অভিযোজনের অর্থনৈতিক লাভের বিষয়টি আমরা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরছি।”

ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের ওপর যে প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও নিজেদের দেশের খাদ্যেপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত। বিশেষ করে তাদের বাজেট কমাতে হচ্ছে।

“যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইন আর গ্লোবাল নর্থ ছাড়াও ভুক্তভোগী হচ্ছে গ্লোবাল সাউথ। কেবল বাংলাদেশ নয়, যেমন ধরুন আফ্রিকার প্রায় সব দেশে পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। আফ্রিকায় ভয়াবহ খরা দেখা গেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির আলোকে সহায়তা করছে না।

“সুতরাং যে সমস্যার মুখোমুখি আমরা, সেটাকে মোকাবেলা করতে হলে যুদ্ধ থেকে শুরু করে জলবায়ু আর উন্নয়নের মত এজেন্ডাগুলোকে সমন্বিতভাবে তুলে ধরতে হবে। তা করতে পারলে আমরা কেবল ঘুরে দাঁড়াব না, অগ্রগতি অর্জন করব।”