সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ রয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

মন্ত্রী জানান, ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2022, 04:22 PM
Updated : 28 August 2022, 04:22 PM

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রোববার জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এই দাবি করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে তোলা হয়।

নজরুল ইসলাম বাবু দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ছাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সরকার সবসময় সজাগ ও তৎপর। কোন ছাত্র সংগঠন দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারে না।”

ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সনাতন পদ্ধতির কারিকুলাম বা সিলেবাসের পরিবর্তে ফলভিত্তিক কালিকুলাম প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

“বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি কাঠামো সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা চলমান।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে (২০০৯-২০২২) পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা অবসর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জুন ২০১৯ পর্যন্ত জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।

নুরুন্নবী চৌধুরীর আরেক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ সংসদকে জানান, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে।