এ পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করার কথা বলছে পুলিশ।
Published : 14 Mar 2023, 03:55 PM
ঢাকার উত্তরা থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।
সোমবার ও মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হৃদয়, আকাশ ও মিলন। তাদেরসহ ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার মিন্টো রোডে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, নতুন করে উদ্ধার হওয়া টাকাসহ এ পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা গেছে।
আগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের সাবেক গাড়িচালক সোহেল রানাসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন। সোহেল রানা ও গ্রেপ্তার আকাশ এই ঘটনার ‘হোতা’।
টাকা লুটের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভাড়ায় লোক আনা হয় জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, পালিয়ে থাকা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা গেলে ‘সব জানা যাবে’।
এর আগে শনিবার ঢাকা ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা উদ্ধারসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তারা হলেন- আকাশ মাতবর, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় তুরাগ এলাকায় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের একটি মাইক্রোবাস আটকে চার ট্রাঙ্ক টাকা নিয়ে যায় একদল ডাকাত।
ওই ট্রাঙ্কগুলোকে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল বলে মানি প্ল্যান্টের তরফ থেকে সেদিন জানানো হয়। সেদিন দুপুর থেকে বিকালে খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করা হয়, সেখানে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল।
ডাকাতির ঘটনায় মানি প্ল্যান্টের পরিচালক (অপারেশন্স) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন জানান, ঘটনাটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১১ কোটি টাকা পরিবহনের সময় অস্ত্রসহ লোক ছিল না এবং অধিকাংশ সময় এইভাবে অধিক টাকা পরিবহন হয়। সেইসঙ্গে টাকা পরিবহনের সময় স্থানীয় থানাকেও তারা অবহিত করেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মানিপ্লান্টের কেউ জড়িত ছিল কিনা, সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে পলাতক সোহেল রানা মানিপ্লান্টে গাড়ি চালকের চাকরি করত। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সবকিছু জানা যাবে।”
আরও পড়ুন-
ডাচ্-বাংলার টাকা লুট: গ্রেপ্তার আটজন ৫ দিনের রিমান্ডে
ডাচ্- বাংলা ব্যাংকের লুট হওয়া টাকার অধিকাংশ উদ্ধার হয়নি
ডাচ্-বাংলার টাকা লুট: আরো আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮