ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

মামলা খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছে বাদী পক্ষ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2022, 07:49 AM
Updated : 8 Nov 2022, 07:49 AM

সাড়ে চার বছর আগে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিবারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আবেদনটি খারিজ করে দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বলেন, “বিচারক মামলা গ্রহণের মত কোনো উপাদান পাননি।“

এদিকে বিচারকের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী কালাম খান।

এ আদালতে গত ১২ অক্টোবর হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলার আবেদন করেছিলেন মিলনের চাচা অলি উল্লাহ।

মামলায় শাহবাগ থানার তখনকার ওসি মো. আবুল হাসান (বর্তমানে রমনা থানার ওসি), রমনা মডেল থানার তৎকালীন ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, ওই সময়ে শাহবাগ থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাকে আসামি করা হয়।

এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করার আবেদন করা হয় মামলার আরজিতে।

সোমবার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছিলেন। মঙ্গলবার তিনি আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন।

আর্জিতে বলা হয়, “২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে মারধর করতে করতে নিয়ে থানায় নিয়েও নির্মম নির্যাতন করে। মিলনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করে পুলিশ।

পরদিন ৭ মার্চ মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়।

আরজিতে বলা হয়, ৭ মার্চ পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় মিলনের হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ‘জখম দেখেছিলেন’ তার চাচা।  

“রিমান্ডের পর থেকেই মিলন প্রচণ্ড অসুস্থবোধ করছিলেন। পরে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানকার একজন সহকারী চিকিৎসক মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা মেডিকেলে আনার পরপরই মিলনের মৃত্যু হয়।”

Also Read: ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন