প্রয়াত বিচারপতি কে এম সোবহানের ‘আদর্শ-নীতি’ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিচারপতি কে এম সোবহানের কলাম ‘সময়ের কথকতা’র মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
দেশের ক্রান্তিকাল উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রয়াত এই বিচারপতিকে ‘মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়ার দাবি জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।
দীপু মনি বলেন, “মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিচারপতি কে এম সোবহান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তার অবদান বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তার আদর্শ নীতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
কে এম সোবহানকে ‘নীরবে-নিভৃতে কাজ করা এক আত্মমগ্ন ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে বর্ণনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "দেশের দুঃসময়ে তিনি নিবিষ্টমনে কাজ করে গেছেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে জন্য কাজ করে গেছেন। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যক্তিত্ব, তার যত গুণ ছিল তা তার চারপাশের মানুষদের ছুঁয়ে গেছে।“
দীপু মনি বলেন, "তার মতো গুণী ব্যক্তিত্বকে নিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রকাশনা থাকা উচিত, যাতে নতুন প্রজন্ম নিজেদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।"
অনুষ্ঠানে কে এম সোবহানকে ‘মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়ার দাবি জানান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, "২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের সময়ে যখন সত্য বলা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কেউ ছিলে না, তখন কেএম সোবহান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার স্মৃতি এবং তার অবদান কেন তার পরিবারকে উদ্যোগে নিতে হবে। তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।"
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
অতিথি আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভাসির্টির সহযোগী অধ্যাপক কুদরাতে খোদা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
শুভেচ্ছা বক্তৃতা রাখেন জাস্টিস কে এম সোবহান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রুমানা নাহিদ সোবহান।