বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে: দীপু মনি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, “আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ পেয়েছি।”

রোববার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি। “

দীপু মনি বলেন, “আমাদের পথ দেখাবে কি? আমাদের পথ দেখাবে তার আদর্শ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক একটি উদার মানবতাবাদী, সুখী, শান্তিময়, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত একটি স্বাধীন স্বদেশ নির্মাণ করতে।

“চেয়েছিলেন আত্মমর্যাদাশীল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি সোনার মানুষ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আর নতুন প্রজন্মই হচ্ছে সোনার মানুষ।”

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত।

আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যান্য অতিথিরা।

আলোচনা সভা আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সবশেষ স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হয়।