‘দেয়াল ভেঙে’ নারীদের বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি

“নারীদের শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তিও জরুরি,” বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2024, 03:17 PM
Updated : 8 March 2024, 03:17 PM

নারীর চলার পথে বাধা হিসেবে ছোটবেলাতেই যে ‘দেয়াল’ তৈরি করা হয় তা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, “ছোটবেলা থেকেই আমাদের চারপাশে শক্তপোক্ত যে দেয়ালগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো ভেঙেচুরে নারীকে বের হয়ে আসতে হবে। এই বিশ্বটায় নারীকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। যত বাধাবিপত্তি আসুক না কেন, দমে যাওয়া যাবে না। তাকে এগিয়ে যেতেই হবে।”

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে তিনি এ কথা বলেন।

নারীরা এখন সবক্ষেত্রেই সাফল্য দেখাচ্ছেন মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, “পাইলট থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সমাজের সবক্ষেত্রে নারীদের সমঝোতা করে এগোতে হয়।

“তাদের এগিয়ে যাবার পথ মসৃণ থাকে না। তার পরেও তারা এগিয়ে যায়। নারীদের শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তিও জরুরি।”

অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন, তার পেছনেও রয়েছে তার সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণা।

“ওই সময় অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব যেটি বলেছেন, তিনি সেটিই করেছেন।”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, “নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টি পরিবার থেকেই শেখাতে হবে। পারিবারিক শিক্ষালয়ে যদি আমরা এ বিষয়ে যুক্ত করতে পারি, তাহলে সকলের মধ্যে এই ধারণা ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে যে, নারী-পুরুষে কোনো বৈষম্য নয়।

“সকলে মিলে আমরা এই সমাজকে গড়ে তুলব। সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, “নারীর ভূমিকা যে শুধু মাতৃত্বে- সেটি নয়। নারীর ভূমিকা আজ নেতৃত্বে, সৃজনশীলতায় ও দক্ষতায় সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের নারী দিবসের বার্তা হবে সমভাবে ক্ষমতায়ন নয়, বরং নারী যেন আরও অধিক ক্ষমতায়ন হয়। তাহলে সমাজ আরও বেশি অগ্রসর হবে।

“নারী-পুরুষ ভেদাভেদের মধ্য দিয়ে নয় বরং মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষকে সহযাত্রী হিসেবে অগ্রসর হতে হবে।”

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি না হলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হতো না বলে মনে করেন অধ্যাপক মশিউর রহমান।

“নারী মুক্তির জায়গায় আমরা সকলে মিলে কাজ করবো, এটি নারী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক।”

সংসদ সদস্য সানজিদা হক, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, অপরাজিতা হক, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।