শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে হচ্ছে সমন্বয় কমিটি

এনসিটিবি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা এই কমিটির সদস্য হবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2024, 02:43 PM
Updated : 4 Feb 2024, 02:43 PM

নতুন শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন পদ্ধতির সমন্বয়ে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এনসিটিবি, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা এই কমিটির সদস্য হবেন।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে সভায় অংশ নেয়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের নতুন কারিকুলাম ‍মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।


“এই কমিটি নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতি ও বাস্তবায়ন নিয়ে বছরজুড়ে কাজ করবে।”

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে বছরজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও বছর শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন। 

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে শিখনকালীন ৬০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংষ্কৃতি বিষয়ে শিখনকালীন শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে।

নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ৫০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বাকি ৫০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।

এছাড়া জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংষ্কৃতি বিষয়ে শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর পাবলিক পরীক্ষা হবে।