পদ্মা সেতু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ বই প্রকাশিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বইটিতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দুটি ভাষণ, বিশিষ্টজনদের লেখা ৫১টি প্রবন্ধ, ১০টি কবিতা ও ছড়া, ৩টি গান ও ৪টি সাক্ষাৎকার রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রাবতী একাডেমি।
গত ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হল।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “পদ্মা সেতু অর্থায়ন থেকে বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর আমাদের দেশের লোকেরা যেভাবে উঠে পড়ে লাগল, সেটা দুঃখজনক।
“বিদেশিরা পরামর্শ দিলেই আমরা লাফালাফি শুরু করব এবং তারা বললে সেটাই ঠিক- এটা সবসময় প্রযোজ্য না। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ থেকে আমরা এই শিক্ষাটা নেব।”
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের পর তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর তৈরির দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু হচ্ছে আমাদের গর্ব। আমরা পারি, এই আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টিতে বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সবাইকে এটা অনুপ্রাণিত করবে।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, “পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বাঙালির আত্ম অহংকারের জায়গায় পদ্মা সেতু একটি মাইলফলক। এক্ষেত্রে, লিখিত আকারে পদ্মা সেতু নিয়ে দ্রুততম সময়ে ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটির প্রকাশ প্রশংসার দাবি রাখে।”
আনিসুল হক বলেন, “পদ্মা সেতু কেবল সেতু আর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নদী পারাপারের ব্যবস্থা নয়। এটা আমাদের অনুপ্রেরণার সেতুবন্ধন।
“এটা যদি কেবল একটা সেতুই হত, তাহলে আজকে বিশ্ব দরবারে আমরা যে মর্যাদা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি, সেটা হত না। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ আমাদের জন্য সাপে-বর হয়েছে, জাতির পিতা কথা ‘আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’-- তার প্রমাণ হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, চন্দ্রাবতী একাডেমির মালিক কামরুজ্জামান খন্দকার কাজলও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।