রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় মঙ্গলবার সকালে যে ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছিল, তাতে শক্তিশালী বোমা রাখা ছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে স্প্লিন্টার ও বিস্ফোরকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কোনো আইইডি (বোমা) নাশকতার জন্য বাইরে থেকে এনে রাখা হয়েছিল। তবে আহতদের কেউ এই বোমাটি বহন করছিলেন না।”
ওই ঘটনায় আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। বর্তমানে এক কিশোর সেখানে ভর্তি আছে।
তারকাটার মতো লোহার টুকরোর আঘাত নিয়ে আকিল হাসপাতালে যায় বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক। তবে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, “বিস্ফোরণের পরে বিকালের দিকে আকিল ঢাকা মেডিকেল আসেন। তাকে প্রথমে বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে আবার মূল হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।”
বিস্ফোরণের ঘটনার বর্ণনায় রমনা থানার ওসি আবুল হাসান জানিয়েছিলেন, “মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মগবাজারের ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় এক মুদি দোকানের সামনে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের পাশেই মুদি দোকানটির অবস্থান।
“সেই দোকানের একটি ড্রাম তারা দোকানের সমানে রাস্তায় রেখেছিলেন। হাসিবুর নামে দোকানের এক কর্মচারী ড্রামটি সরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে।”
আহতদের মধ্যে প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের (৩৫) গলায় ও বুকে জখম ছিল। তার বাসা বাসাবোতে। মগবাজারে অগ্রণী অ্যাপার্টমেন্টে প্রকৌশলীর দায়িত্বে আছেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, “উজ্জ্বল হোটেলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, আমি রাস্তায় পড়ে যাই। আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।”