বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়াদী উদ্যান অংশে সিআরআইর স্টলে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ছাড়াও অন্যান্য বই পাওয়া যাচ্ছে।
Published : 11 Feb 2024, 08:44 PM
এ বছর বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআইর স্টলে বিশেষ মূলছাড়ে মিলছে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থ অবলম্বনে তৈরি করা গ্রাফিক নভেল।
গ্রাফিক নভেলটির মূল্য ১০০০ টাকা হলেও বিশেষ ছাড়ে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়াদী উদ্যান অংশে সিআরআইর স্টলে তা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়।
এই গ্রাফিক নভেলের প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
গ্রাফিক নভেল চিত্রায়ন করেছেন সব্যসাচী মিস্ত্রী। এর কাহিনী বিন্যাস ও সংলাপে কাজ করেছেন সিদ্দিক আহমেদ এবং প্রজেক্ট কিউরেশন ও সম্পাদনায় ছিলেন শিবু কুমার শীল।
বাংলা একাডেমি সিআরআইর ৭৭৮-৭৭৯ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৯ ও ৩০ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে এই গ্রাফিক নভেল।
এ ছাড়াও সিআরআই প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ছাড়াও অন্যান্য বই পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার সিআরআইর স্টলে গ্রাফিক নভেলপ্রেমিদের ভিড় দেখা গেছে।
১৯৫২ সালে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফর করা তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের নোট খাতায় টুকে নিলেও তখন পুরোপুরি লিখে উঠতে পারেননি। এ বিষয়ে লেখার অবসর মেলে ১৯৫৪ সালে, কারাগারে বসে। প্রায় ৬৫ বছর পর ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় বাংলা একাডেমি থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয় এ ভ্রমণকাহিনী।
এই গ্রাফিক নভেলের বর্ণনায় বলা হয়, দীর্ঘ ২৫ দিনের চীন ভ্রমণকে শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একটি ভ্রমণ হিসেবে নেননি, নিয়েছিলেন রাজনৈতিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে।
সদ্য বিপ্লবের পর চীনদেশের রাজনীতি, শাসনব্যবস্থা ও মানুষের জীবনযাত্রার কি পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তা বুঝতে ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি নিষ্ঠার সাথে কাজে লাগিয়েছেন। গ্রাম, শহর, কৃষিখামার, হাসপাতাল, কলকারখানা, বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রমজীবী মানুষের বাসস্থান তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বিপ্লবের মাত্র তিন বছরের মাথায় চীনের যে অকল্পনীয় পরিবর্তন হয়েছিল তা তরুণ শেখ মুজিবকে অভিভূত করেছে। তাকে মুগ্ধ করেছে নয়াচীন সরকারের অকপটতা, সত্যবাদিতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা। পিকিং, নানকিং, সাংহাই, ক্যান্টন, হ্যাংচোসহ চীনের বড় বড় শহর তিনি ট্রেনযোগে সফর করেছেন। সাক্ষাৎ পেয়েছেন মহান নেতা মাও সে তুংয়ের। মাওয়ের প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা তরুণ শেখ মুজিবকে অনুপ্রাণিত করেছে।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রস্তুতিকালকে বুঝতে এ গ্রন্থ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।