নিরাপদে সরছে উপকূলবাসীরা

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন এগিয়ে আসায় সন্দ্বীপসহ চট্টগ্রামের সাত উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের লোকজন নিরাপদে সরে যেতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2013, 10:26 AM
Updated : 15 May 2013, 10:28 AM
ইতোমধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলার ১০৩টি সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী লোকজন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-খাজা আলামীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত। আগে থেকে মাইকিং করা হলেও বুধবার দুপুর থেকে লোকজনকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিধিরা।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পাঁচটি উপকূলবর্তী ইউনিয়নের লোকজনকেও সরানো হচ্ছে বলে জানান বাঁশখালীর ইউএনও সাব্বির কামাল।

তিনি বলেন, লোকজন ৯৪টি সাইক্লোন সেন্টার এবং নিকটস্থ স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা দালানে যেতে শুরু করেছে বিকাল থেকে।

তারপরও যারা যাচ্ছেন না তাদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের লোকজন সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্থা শাহীন ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, উপকূলবর্তী ছয়টি ইউনিয়নের লোকজনদের ৫৯টি সাইক্লোন সেন্টারসহ নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে।

আনোয়ারায় উপকূলের লোকজনকে সরানো এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের পাশাপাশি এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা উপজেলার ইউএনও ফারুক হোসেন।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন জানান, উপজেলায় ৭৫টি সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যে লোকজন আসতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম ঝেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত কমিটি করার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় মেকাবেলায় কমিটি হয়েছে। খোলা হয়েছে পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় উপজেলায় শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর, সিইপিজেডে পৃথক নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।