ঝড়ে গাছচাপায় তিন জেলায় নিহত ৩

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে বৃহস্পতিবার গাছচাপা পড়ে বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালীতে তিনজন নিহত হয়েছেন।

প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2013, 03:22 AM
Updated : 16 May 2013, 03:22 AM

এছাড়া বরগুনায় বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বেতাগী উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে এক শিশু মারা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বেতাগী থানার ওসি বাবুল আখতার জানান, গাছ চাপায় পূর্ব রানীপুর এলাকায় মারা যান সৈয়দ আলী খান (৭৫)।

ওসি বলেন, বজ্রপাতে ‘আতঙ্কিত হয়ে’ কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলীতে মারা গেছে  শিশু আবির হোসেন (৬)।

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বলেন তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সকাল ৯টার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সেটি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করে।

ঘূণিঝড়ের প্রভাবে বরগুনার নিচু এলাকায় ছয় থেকে সাত ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। জেলা শহরের কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে মারা যান আবুল কাশেম (৬৫)।

মহাসেনের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলায় মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

ভোলা সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত  হয়েছে। ৩/৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় জেলার বেড়ি বাঁধের বাইরের বিস্তির্ণ এলাকা।

জেলা প্রশাসক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় বুধবারই ১৩ হাজার মানুষকে জেলার চর, দ্বীপ ও উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়। 

যারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন, তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ও ব্যবস্থা করা হয়।

পটুয়াখালীতে প্রতিনিধি জানান, গলাচিপা পৌর এলাকায় ঝড়ে উপড়ে পড়া একটি গাছের চাপা পড়ে মারা যান রিজিয়া পারভীন (৪৫)।

গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম এ খবর নিশ্চিত করেন।

রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা উপজেলা তিনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ে আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক বলে জানান তিনি।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঝড়ে তার উপজেলার সাত/আটশসহ জেলায় দুই হাজারের অধিক কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে।

ভোর ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত স্থায়ী ঝড়ে জেলায় দুই হাজারের বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।