“আমার পাঁচ বছর আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সব সময় আমার মাথায় রেখেছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি,” বলেন ভূমিমন্ত্রী।
Published : 20 Nov 2023, 03:50 PM
ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ‘ক্যাশলেস’ করার পর এই খাতে এখন দিনে পাঁচ কোটি টাকা জমা হচ্ছে বলে ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জানিয়েছেন।
এই কর আদায় বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে, এমন আশা করছেন তিনি।
সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সোমবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ক কর্মশালায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, “ভূমি উন্নয়ন কর যেটা ম্যানুয়াল ছিল, সেটাকে আমরা বন্ধ করে পুরো ক্যাশলেস করে ফেলেছি। প্রতিদিন ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ পাঁচ কোটি টাকা জমা হচ্ছে। বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।”
শেষ সময়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন করা হয়েছে জানিয়ে জাবেদ বলেন, “ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা করার কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ বিধিটা হয়ে যাবে। বিধিটা না হলে হাফডান হয়ে যাবে। হাফডান নিয়ে আবার প্রবলেম হয়ে যাবে।
“ভূমি মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলেছি। এটাকে একটা সাসটেইনেবল জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমার পরে যিনি আসবেন তার বেসিক্যালি রুটিন ওয়ার্ক হবে। কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলোকে যদি ক্যারি ফরওয়ার্ড করতে পারে। মোটামুটি আমরা একটা শেইপে নিয়ে এসেছি।”
গত পাঁচ বছর আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “মনে হচ্ছে স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) নিয়ে ইনশাআল্লাহ যেতে পারছি। আমি আমার জায়গা থেকে ইনশাআল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
“আমার পাঁচ বছর আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিটি দিনকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা সব সময় আমার মাথায় রেখেছিলাম বলে একটা স্যাটিসফেকশনের জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি।”
এরপরেও কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকের একসঙ্গে খতিয়ান থাকে, ভাগ হয় না, ল্যান্ডট্যাক্স দিতে পারে না। কিছু কিছু বিষয়ে কমপ্লেইন আসছে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মোটামুটি কি পয়েন্টস, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশন, ল্যান্ডট্যাক্স- এগুলো মোটামুটি আমরা সেরে ফেলেছি।”
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ে ধীরগতি রয়েছে স্বীকার করে জাবেদ বলেন, “রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে, কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে আরও কাজ বাকি আছে। আমরা ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ করছি। ডিজিটাল সার্ভের কাজ সারাদেশে শুরু হবে।”